সকাল নারায়ণগঞ্জ
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ করতে রাজধানী কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে হাজারো যাত্রী ছুটে চলেছেন নিজ গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ ও স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি ট্রেন প্লাটফর্মে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপচেপড়া যাত্রীদের ঢেউ। ঠেলাঠেলি করে ট্রেন উঠতে পারলেও অনেকেই নির্দিষ্ট আসনে বসতে পারছেন না, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ট্রেন উঠতে পারছেন না এমন অভিযোগও এসেছে যাত্রীদের কাছ থেকে। অনেককে জানালা দিয়েও ট্রেনের ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তার উপরে ট্রেন ছাড়ার আগমুহূর্তে স্টার্টিং টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে বিনা টিকেটের যাত্রীরা হুড়মুড় করে ট্রেন উঠে পড়ছেন। ঠেলাঠেলিতে অনেকে আঘাত পাচ্ছেন, আবার অনেকের ব্যাগ ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোনো ট্রেনের ভেতর তিল ধারণের জায়গা নেই, বাধ্য হয়ে নারী পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই বহু কষ্টে ছাদে উঠে যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন। রেল পুলিশ ছাদের যাত্রীদের নামানোর চেষ্ঠা করলেও কোন কাজ হয়নি। যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ছাদে চড়ে দূরদূরান্তে ঈদযাত্রা করছে। অনেক বলছেন, টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু করার তো কিছু নেই, বাড়ি যেতেই হবে, স্বজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তারা এটুকু ঝুঁকি নিচ্ছেন।
এদিকে ঈদের ছুটি শুরুর শুক্রবার (৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। কোনো কোনো ট্রেন ৩০-৩৫ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও বড় কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয় ছিল না।
কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারেন সে বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। আর ছাদে চড়ে ঝুকি নিয়ে ট্রেন যাত্রার বিষয়ে রেল পুলিশ জানিয়েছে তারা বারে বারে মাইকিং করে সতর্ক করছেন যাতে ছাদে না ওঠেন, আর কেউ উঠলে তাদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।