সকাল নারায়ণগঞ্জ
১৩ লক্ষ পিস ইয়াবার মামলায় পাঁচ বছর ধরে পলাতক আসামী গ্রেফতার।
পিবিআই প্রধান, অ্যাডিশনাল আইজিপি, জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার জনাব নাইমা সুলতানা’র নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জুনায়েদ কাওসার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো এর আভিযানিক দল কতৃর্ক পুলিশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ইং ০৬/০৭/২০২২ তারিখ রাত ১২.০০ ঘটিকা হইতে ০১.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর এলাকা হতে অভিযুক্ত আসামী মোহাম্মদ শওকত আলম (৪৫), পিতা—মৃত শাহ আলম, মাতা—হাসনা বেগম, সাং—উত্তর মাদার্শা, ২নং ওয়ার্ড, উত্তর মাদার্শা ইউপি, থানা—হাটহাজারী, জেলা—চট্টগ্রাম। বর্তমানে—ডিজাইন ফয়েজ মেনর, শুলকবহর, ডাকঘর—চকবাজার, থানা—পাঁচলাইশ, জেলা—চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করা হয়।
বাদী এস.আই আব্দুর রব, মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ, সিএমপি, চট্টগ্রাম ইং ০৩/০৫/২০১৮ তারিখ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হালিশহর থানাধীন শ্যামলী আবাসিক এলাকায় শান্তিবাগ মসজিদের পাশে একটি বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলা হতে বিশটি প্যাকেটে সর্বমোট ১৩,০০,০০০(তের লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আসামী আশ্রাফ আলী ও মোঃ হাসান নামে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় সিএমপি হালিশহর থানার মামলা নং-০১, তারিখঃ ০৪/০৫/২০১৮ইং,ধারাঃ ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) এর ৯(খ)/২৫/৩৩(১) রুজু হয়। মামলাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত শেষে ইতিপূর্বে সর্বমোট ১২ (বার) জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও ধৃত আসামী আশ্রাফ আলী ও রাশেদ প্রঃ মুন্না এর বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারার দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রদত্ত পলাতক আসামী শওকত আলম’কে শনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই। এছাড়াও আরো চারজন আসামীকে নাম—ঠিকানা শনাক্ত না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো’কে দায়িত্ব অর্পন করেন। ইং ১৭/০৪/২০২২ তারিখ মামলাটির তদন্তভার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাওসার এর উপর অর্পণ করা হয়। তিনি বিশ্বস্ত গুপ্তচর সহ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামী শওকত’কে শনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামী শওকত একজন মাদককারবারী। তিনি অপরাপর সহযোগি সহ আমদানি নিষিদ্ধ এমফিটামিন যুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার হতে আমদানি করে চট্টগ্রাম সহ সারা দেশ ব্যাপী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করিতেন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি পলাতক থাকিয়া ইয়াবা ব্যবসায়ের ন্যায় ঘৃণ্য অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর পলাতক থাকার পর বর্ণিত আসামী শওকত আলম’কে গ্রেফতার পূর্বক ইং ০৩/০৭/২০২২ তারিখ বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।