সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
১/১১ এর তত্ত্বাবধায় সরকারের আমলে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের আজকের এই দিনে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিনটিকে স্মরণ করে শনিবার (১১ জুন) পৌনে ১২টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু জানান, প্রথমে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পরে একে একে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে শুভেচ্ছা জানান—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতারা এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে সব সময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। যতবার গ্রেফতার হয়েছি ততবারই নেতার্কমীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি।
চিঠির মাধ্যেমে নেতাকর্মীদের নিদের্শনা দিয়েছি। দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ’৮৩ সালে অ্যারেস্ট করা হয়। ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়েই গ্রেফতার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনদিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে, কারও কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেখ হাসিনার কারামুক্ত দিবসকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। এ দিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাঙালি ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তোমরা মিথ্যাচার করো, আমরা কাজ করে জবাব দেই