সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
উত্তাল ঢাকা নগরী। স্বৈরশাহীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হিংস্র প্রতিরোধ ব্যুহ ভেদ করে জনতার স্রোত ধেয়ে চললো শাপলা চত্বর অভিমুখে। দিশেহারা হয়ে যায় স্বৈরশাহী। পেটোয়া বাহিনী আগেই প্রস্তুত ছিলো সমাবেশ ঠেকাতে। আগের দিনই পুলিশ সমাবেশ মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলেছিলো। গ্রেফতার করেছিলো ইসলামী আন্দোলনের ৮ জন কর্মীকে। অতএব পরিস্থিতি ছিলো উত্তপ্ত। পুলিশ ঘিরে রেখেছিলো গোটা মতিঝিল ও দৈনিক বাংলা এলাকা।
উপরের কঠোর নির্দেশ; কোনো রকম সমাবেশ করতে দিবে না তারা আজ। স্বৈর সরকার ইতিমধ্যে টের পেয়ে গেছে ইসলামী জনতার এই স্রোত সরকার বিরোধী আন্দোলনকে আরো গতিময় করে অপ্রতিরোধ্য করে তুলবে। ইসলামের পক্ষে একটি গণ-অভ্যুত্থানের আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েছিলো একটি মহল। অতএব যে কোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে এই মহা শক্তিকে। মাথা সোজা করে দাঁড়াতে দেয়া যাবে না এ মিশনকে।
পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক লাখো ইসলামী জনতার উপর চালানো হয় হিংস্র বর্বরতা। বায়তুল মোকাররমের পবিত্র অঙ্গনে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পায়নি ঈমানদার জনতা। বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস আর বুলেটের মহাযজ্ঞ চালিয়ে উল্লাসিত হলো হায়েনার পেটোয়ারা। জাতীয় বায়তুল্লাহ রঞ্জিত হলো আহতদের ছোপ ছোপ রক্তে।
সেদিন শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে দেয়নি ওরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেও সেদিন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো হিংস্র পুলিশ। সেদিন অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছিলো। এক রক্ত ঝরা অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে সূচনা হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অভিযাত্রা।
আজ ১৩ই মার্চ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ৩৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নগরবাসীকে রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নগর সভাপতি মুহা. নুর হোসেন ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ।
বার্তা প্রেরক
মুহা. বিলাল খান
প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক