সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটির উদ্যাগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দরা।
সোমবার (৭ মার্চ) সকালে নগরীর ২নং রেলগেট সংলগ্ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগ জেলা আহবায়ক কমিটির সংগ্রামী আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ নাসির উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাঈদ হাসান ইমন এর নেতৃত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জানে আলম সেলিম।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালি জাতিকে সংঘবদ্ধ হতে সহায়তা করেছিল, ৭ মার্চে রেসকোর্স থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা না আসলে হয়তো এতো অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিরোধ ও জেগে ওঠার মানসিকতা গড়ে উঠতো না। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণমানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে সেই মহাকাব্য।
বিশেষ অতিথি মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জানে আলম সেলিম বলেন, ৭ই মার্চের ১৯ মিনিটের সুমধুর ভাষণটি বিশ্বের ১২টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ঐতিহাসিক ভাষণটি ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভুক্ত করে। এটি নি:সন্দেহে সমগ্র বাঙালির জন্য একটি গর্বের বিষয়, অহংকারের বিষয়।
মৎস্যজীবী লীগ জেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক নাসির উদ্দীন বলেন, বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সমুন্নত রেখে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে কিভাবে দেশ স্বাধীন করতে হবে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে এ পথ বাতলে দিয়েছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির পথ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অনন্তকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে। এ ভাষণ আমাদের মুক্তির মন্ত্র, সংগ্রামের চেতনা ও আত্মত্যাগের প্রেরণা। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক এস এম তাজউদ্দিন চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন মুসা, মোঃ বদরুদ্দীন মিয়া, আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ সোনা মিয়া, নূর মোহাম্মদ, এমএস মুখদুমী মিল্কিন, মশিউর রহমান লিংকন, শেখ মোঃ হাফিজ, হারুন খলিফা, দেলোয়ার হোসেন, সহ জেলা ও মহানগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।