1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
'করোনা মোকাবেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে পুলিশ'- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - সকাল নারায়ণগঞ্জ
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
শিক্ষা কারিকুলামে ট্রান্সজেন্ডার প্রমোট করার ষড়যন্ত্র থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। সাংবাদিক মুন্নার পক্ষ থেকে পাগলা বাজার এলাকায় সর্বসাধারণের মাঝে শরবত বিতরণ  তীব্র দাবদাহে  রূপগঞ্জে বিশুদ্ধ শীতল পানি স্যালাইন বিতরণের উদ্বোধন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর টোল প্লাজার সামনে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানে সম্মাননা পদক আবিরকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না  বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন স্মৃতি সম্মাননা পদক ২০২৪ অনুষ্ঠিত  নগরীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ৬ষ্ঠ জেলা কারাতে অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে কিশোর গ্যাং, মাদক নির্মূল ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

‘করোনা মোকাবেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে পুলিশ’- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩৮ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি বলেছেন, করোনাকালে চিকিৎসকদের পাশাপাশি যারা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে পুলিশ ছিল অন্যতম। করোনা মোকাবেলায় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে যা যা করা প্রয়োজন সব করেছে পুলিশ। তারা দায়িত্ব পালনে কোন সময় অবহেলা করেননি। করোনাকালে পুলিশ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। 


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার অনুমোদিত করোনা ইনসিগনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 

করোনা ইনসিগনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচনের পর আইজিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইনসিগনিয়া পরিয়ে দেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একে একে আইজিপি, অতিরিক্ত আইজিগণ এবং পুলিশ সদস্যদের করোনা ইনসিগনিয়া পরিয়ে দেন। 


অনুষ্ঠানের শুরুতে করোনাকালে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে করোনাকালে পুলিশের অনন্য সাধারণ অবদানের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। 


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আবারও প্রমাণ করলেন পুলিশ জনগণের পাশে থাকে, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে। 


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা কিভাবে আমাদের পর্যুদস্ত করেছে তা আপনারা দেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে করোনা মোকাবেলায় লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়ন, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছানো, তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়া, করোনায় কেউ মারা গেলে যখন আত্মীয়-স্বজনরা লাশ ফেলে চলে গেছেন তখন লাশের দাফন ও সৎকার করা, এমনকি কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ। 


করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অনন্য সাধারণ অবদানের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যখন দেশের অনেক বড় বড় হাসপাতাল কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে, সেখানে পুলিশ হাসপাতাল করোনা চিকিৎসায় অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের নয়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষকেও চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। 


তিনি করোনাকালে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সেবা দেয়ার কাজে নেতৃত্ব দেয়ায় আইজিপি এবং পুলিশ সদস্যদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান। 


সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, করোনাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ এক মহাকাব্যিক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পুলিশকে সারাবিশ্বের মত আমাদের দেশেও ফ্রন্টলাইনার  হিসেবে কাজ করতে হয়েছে। করোনাকালে দেশ ও জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশ পুলিশের ১০৭ জন গর্বিত সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। আক্রান্তরা সুস্থ হয়েই দেশ ও জনগণের কল্যাণে আবার নিজেদের নিয়োজিত করেছেন।


তিনি বলেন, প্রথম দিকে করোনা সংক্রমণে প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ শ’ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের পিপিপি নেই,  হ্যান্ড গ্লাভস নেই,  মাস্ক নেই। তবুও আমরা জনগণের পাশে ছিলাম। এজন্য আমাদের সদস্যদের সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছিল। আমরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণকে সেবা দিয়েছি এবং পরে নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েছি। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে। 


তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের কোনো পূর্ব ধারণা ছিল না। আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে নিযুক্ত উন্নত এবং পার্শ্ববর্তী দেশের পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসারদের ডেকে নিয়ে এসে তাদের সাথে বসে করোনা মোকাবেলা আমাদের দেশের উপযোগী করে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করেছি। পুলিশ সদস্যদের করোনা চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাড়া করে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিউনিটি সেন্টারে তাদের থাকার জন্য বিছানা ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার সাধারণ হাসপাতাল থেকে মাত্র এক মাসের মধ্যে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। আমরা সর্বপ্রথম পুলিশ হাসপাতালে আইভারমেট্রিন ব্যবহার করেছি। বিদেশী হাসপাতালের সাথে পুলিশ হাসপাতাল করোনা চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করেছে। আমরা প্রথম প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করেছি। করোনা চিকিৎসায় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী সবাই অতিমানবীয় কাজ করেছেন। তিনি বলেন, যত সহজে এ কথাগুলো বলেছি তা করা খুব সহজ ছিল না। 


করোনা ইনসিগনিয়া প্রদান প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে আইজিপি বলেন, RAB যখন সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করেছে তখন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখনকার RAB প্রধান হিসেবে আমাকে বলেছেন আপনারা এত বড় একটা কাজ করলেন আমি আপনাদের জন্য কিছু করতে চাই। তিনি আমাদের আর্থিক অনুদান দিতে চেয়েছেন,  সনদপত্র দিতে চেয়েছেন। 


ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজি (এফঅ্যান্ডএল) এস এম রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (এঅ্যান্ডআই) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, RAB মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL