সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার নামে নির্বাচনী সভা বা চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও নুর হোসেন সওদাগর বিরোধী সভা করেছেন আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী বহুল বিতর্কিত ফজর আলী এমনটাই বলছে স্থানীয়রা।
সভায় বক্তাদের বেশীরভাগই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের বিষয়ে আলোচনা না করে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও নুর হোসেনের সমালোচনা করে, কটাক্ষ করে আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখেন।
আজ মঙ্গলবার ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত করে গোগনগরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক ও বক্তাদের এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন স্থানীয়রা। এসময় তারা বলেন, শোকসভা তথা আলোচনা সভার নাম ব্যবহার করে ফজর আলীর উদ্যোগে আজ নির্বাচনী সভা করা হয়েছে এখানে। দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে, দলীয় সিনিয়র নেতাকর্মীদের উপস্থিত রেখে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সস্পাদক ভিপি বাদল বলেছেন, অনেকেই আজকে বড় বড় কথা বলেন, হাইব্রীড, কাউয়া বলেন। তাহলে মোস্তাকের মন্ত্রী পরিষদে কারা যোগ দিয়েছিলো সেই তালিকা করা হোক।
তিনি আরও বলেন, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামীলীগে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলে তাদের উদ্দেশ্যেই বলতে চাই, কুখ্যাত নুর হোসেন (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান), জসিম (চেয়ারম্যান প্রার্থী) রাতের আধারে আওয়ামীলীগের নাম বিক্রি করে সংসার চালায়।
তিনি আরও বলেন, জসিম ফেল করার পর এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এটা আপনারা সবাই জানেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন বলেছেন, আসন্ন গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচননে ফজর আলী ভাই নৌকা পাইলেও তাকে পাশ করাবো, নৌকা না পাইলেও পাশ করাবো। প্রয়োজনে আম পাতা মার্কা দিয়ে পাশ করাবো। নৌকার কোনো দরকার নাই। নৌকা শুধু একটা মার্কা, ভোট দিবেন আপনারা।
তিনি আরও বলেন, নৌকা প্রতীক দিবে ওসমান পরিবার। তাই ওসমান পরিবারের দিকে তাকান। আমাদের কিছু করার নেই, আমরা শুধু ফর্মূলা দিতে পারি।
নাজির হোসেন ফকির বলেন, সমালোচনায় যাবো না, তবে সত্যি কিছু কথা বলবো। জসিম আওয়ামীলীগের এক কর্মীকে পিস্তল দেখাইছে, দেখিয়ে বলছে নির্বাচনের পরে তোমাকে দেখবো। নির্বাচন করবেন, করেন কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ভয় দেখাইয়েন না। আপনার বাবা স্কুলের সাইনবোর্ড দেখাইয়া আপনাদের পালছে, বড় করছে। আপনি আপনার বাবার মতো হইয়েন না। স্কুলটাকে গিলে খাইয়েন না।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে আপনার বাবা ছিলো আল বদর। আপনি এখন মানুষকে কাউয়া-হাইব্রীড বলেন। আপনের বাবাই কাউয়া হাইব্রীড, আপনেই কাউয়া হাইব্রীড। চেয়ারম্যান হিসাবে ফজর আলী সাহেবকে চাই।
রুস্তম আলী সরদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে ফজর আলীকে তুলনা করলেন। তিনি জসিমউদ্দিনকে কালারব্রীডও বলেন।
৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহআলম সরদার বলেন, জসিম তোর বাবা ছিলো শান্তি কমিটির সদস্য। সে আওয়ামীলীগের চরম দুশমন। সিএস দেখাতে পারলে ১ লক্ষ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিলেন।
৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কালা চান বলেন, জসিম ভাই ১৬ সালে নৌকা ডুবিয়েছে। আবারও নৌকা ডুবাতে চান।