সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে র্যাব-১০ সাথে ভুলবুঝাবুঝির কারণে সাংবাদিক সোহেল রানাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সোহেল রানাকে সামাজিক ভাবে হেয়পতিবাপন্ন করতে ওই মহলটি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ফেসবুকে শেয়ার করছে। এতে পেশাদার সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০ জুলাই র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি টিসি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আলমগীরসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এখবর পেয়ে সাংবাদিক সোহেল রানা অভিযানস্থলে গিয়ে আটকদের ছবি তুলে। এসময় র্যাবের সাথে সোহেলের ভুলবুঝাবুঝি হয়। তখন র্যাব সোহেল রানাকে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা র্যাব কার্যালয়ে গিয়ে সোহেল রানাকে সসম্মানে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
এই তুচ্ছ বিষয়টিকে পুঁজি করে একটি মহল সোহেল রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। তাকে মাদক ব্যবসায়ী ও মানহানিকর উক্তি করে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সোহেল রানাকে সামাজিক ভাবে হেয়করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যারা এসব করছে তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে সিদ্ধিরগঞ্জের পেশাদারি সাংবাদিক মহল ভালকরেই অবগত আছে। এসব অপপ্রচার করে তারা নিজেদের তথা সাংবাদিক সমাজকে কলষিত করছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
জানা গেছে, পেশাদারিত্বের বেলায় সোহেল রানা সর্বদায় সোচ্চার। স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বমহলে তার পেশাদারিত্বের সুনাম রয়েছে। যে কোন ঘটনা-দুর্ঘটানাস্থলে তাকেই সর্বপ্রথম দেখা যায়। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে তার কোন অবহেলা নেই। অথচ অপেশাদারিরাই সাধারণ একটি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সোহেল রানাকে হেয়করার পাঁতারা করছে। এতে বিভিন্ন মহল নিন্দা প্রকাশ করেছেন। এধরণের অপপ্রচারে যারা লিপ্ত হয়ে নিজেদেরকেই সমালোচনায় পতিত করছে ওই মহলটি।
বাস্তবিক অর্থি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক নামিদামি ও বহুল পরিচিত সাংবাদিকরাও প্রশাসনের হাতে হেনস্থা হচ্ছে। তার অর্থ এই নয় যে তিনি খারাপ। ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে সোহেল রানার ক্ষেত্রে। তাই এই বিষয় নিয়ে গোলাপানিতে মাছ শিকার করার ষড়যন্ত্র করা সাংবাদিক পেশার নৈতিকতা নষ্ট করার সামিল বলে মনে করছেন সচেতন মহল।