সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দাবী করা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ স্থানীয় চরমোন্তাজ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ন্যায়বিচার পাননি। পরে, তিনি আদালতে মামলা করেন এবং থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহন করে আদালতের ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে আসামীকে গ্রেফতার করে। (সংবাদের স্ক্রীনশট সংযুক্ত)
কিন্তু, এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর ভাষ্যটি সম্মানিত পাঠক ও নাগরিকগণের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলো। নির্যাতনের ভিডিওটি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর হাতে আসার পরপরই এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা তাৎক্ষনিকভাবে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসানকে ফোন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নিতে বলেন। ওসি রাঙ্গাবালী জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আগেই পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। তাৎক্ষনিকভাবে কাউকে পাননি। তবে, লোক মুখে শুনেছেন, নির্যাতিত বৃদ্ধ আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু, রাঙ্গাবালী থানা আদালতের নিকট হতে এ সংক্রান্তে মামলার কোনো নথি পায়নি। কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানাও থানায় আসেনি। এ পর্যায়ে এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা ওসি রাঙ্গাবালীকে বলেন, মামলার বিষয়টি যেহেতু নিশ্চিত নয় এবং এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা নির্দেশনা যেহেতু পুলিশ পায়নি, তাই অপেক্ষা করে বসে না থেকে এ ধরনের গর্হিত কাজের জন্য দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আদালতের কোনো নির্দেশনা পরবর্তীতে আসে তবে সে অনুযায়ী তখন ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ। তিনি ওসি রাঙ্গাবালীকে নির্দেশনা দেন, দ্রুত বৃদ্ধের সাথে যোগাযোগ করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বৃদ্ধের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নিতে। এর পরপরই ওসি রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিমকে পাঠিয়ে বৃদ্ধের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেন। ওসি রাঙ্গাবালী এ বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন।
মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর দাবীর সপক্ষে নির্যাতিত ব্যক্তি, যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যের অডিও ও ভিডিও রেকর্ডসহ প্রাসঙ্গিক প্রমানাদি মিডিয়া উইং এর হাতে এসেছে। বৃদ্ধ বা তার পক্ষে কেউ উল্লিখিত নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে তদন্ত কেন্দ্র বা থানায় কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি। এর প্রমানও রয়েছে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর হাতে। উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) গ্রেফতার ও পুলিশি ব্যবস্থা প্রসঙ্গে একটি প্রেস নোট ইস্যু করেছিল মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। সেটি বিভিন্ন গনমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়েছে।
যুগান্তরের মতো একটি প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার নিকট আরো বেশি বস্তুনিষ্ঠ ও সচেতন সংবাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ পুলিশ। পাশাপাশি, দেশ ও মানুষের কল্যাণে যে কোনো কাজে পাশে থাকার ও একত্রে কাজ করার সদিচ্ছা ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
শ্রদ্ধান্তে
মো. সোহেল রানা
এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)
বাংলাদেশ পুলিশ