1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
আজ সে বেদনাদায়ক ১৬ই জুন - সকাল নারায়ণগঞ্জ
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সাহিত্য-সংস্কৃতি কখনো ধর্মান্ধ হয় না মমিনউল্লা ডেভিডের ২০তম মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মো: শাকিল (২৬) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জে ২৭ যানবাহন জব্দ, ২৯ মামলায় লাখ টাকা জরিমানা ১০ দিন যাবৎ নিখোঁজ ঝর্ণা বিশ্বাস সন্ধান চায় পরিবার  বশিষে উদ্দশ্যেে র্গামন্টেস শ্রমকি ফ্রন্টরে নতেৃবৃন্দরে নামেবভ্রিান্তকির সংবাদ প্রকাশরে প্রতবিাদ সংখ্যানুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন দেশের জনগণ মেনে নিবে না পুলিশ ‍সুপারের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানকে ভৎসনা করেছেন আদালত

আজ সে বেদনাদায়ক ১৬ই জুন

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১
  • ৮১ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)

আজ বেদনাবিধুর দিন ১৬ই জুন নারায়ণগঞ্জ বোমা হামলা ট্রাজেডি দিবস। ২০০১ থেকে ২০২১ এর ১৬ জুন। দিন গিয়ে মাস, মাস গিয়ে বছর থেকে পেরিয়ে গেল যুগ। আজ ১৬ই জুন বুধবার শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। এভাবেই ২০টি বছর পেরিয়ে ২১ বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে। কিন্তু আজো বিচার কার্য সম্পন্ন হয়নি নারায়ণগঞ্জের চাষাঢায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা ঘটনার অভিযুক্তদের। শক্তিশালী বোমার আঘাতে নির্মম মৃত্যু ঘটে ২০ টি তাজা প্রাণের। এখনো থামেনি নিহতের স্বজনদের আহাজারী।
সেদিন গুরুতর আহত হয় একেএম শামীম ওসমান সহ র্অধশতাধিক নেতাকর্মী। ক্ষত বিক্ষত করা শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করা স্প্রিন্টার এখনো যন্ত্রনা দেয় নৃশংস ওই বোমা হামলায় আহতদের। হতাহত স্বজনদের বুক ভরা আশা পরপর তিনবার সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় মামলাটির সুষ্ঠু সমাধান হবে, উচিত শাস্তি পাবে প্রকৃত দোষীরা। তবে অভিযুক্তদের কেউ কেউ এখনো উন্মুক্ত ঘুরছে। এ নিয়ে স্বজনদের ক্ষোভ। ফলশ্রুতিতে আজও অপেক্ষায় কবে শেষ হবে নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞের মামলা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতদের পরিবারের কয়েকজন স্বজন জানান, ঘটনার পর নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও প্রকার মামলা করা হয়নি। তাদেরকে মামলা করতেও দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির ২৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে বিএনপি সরকার ক্ষমতার আসার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এভাবে বোমা হামলার ঘটনা নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে দড়ি টানাটানি খেলায় মেতে ওঠে দুই দল। সবশেষ আওয়ামীলীগ সরকার এ মামলার অনেকটা অগ্রগতি করলেও টানা হচ্ছে এর ইতি।
সর্বশেষ ২০২০ সালে ১১ মার্চ  এ হামলার ঘটনায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাহ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এর আদালতে আদালতে জামিন প্রাপ্ত ও কারাবন্দি আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। যারা স্বাক্ষী দিয়েছিলেন তারা হলেন ফারুক, হুমায়ুন হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লুৎফর রহমান, মোকারম হোসেন, খালিদ হাসান, হুমায়ুন কবীর,  ফরিদ উদ্দিন, তানজিলুর রহমান, শফিকুজ্জামান । এ পর্যনত সর্বমোট ১৬ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করা হয়েছে। ওইদিন হাজির করা হয়েছিল এ বোমা হামলার আরেক আসামি শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েলকে। এছাড়াও অভিযুক্ত ৬ আসামীর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু (জামিন প্রাপ্ত) ও যুবদল নেতা ক্রস ফায়ারে নিহত মমিন উল্লাহ ডেভিডের ছোট ভাই শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল (কারাগারে বন্দি) উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহন হয়েছিল।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নারায়ণগঞ্জ আবদুর রহিম জানান, বোমা হামলার ঘটনার দায়ের করা দুটি মামলা এখন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিভিন্ন কারণে মামলার আসামী ও স্বাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে না পাড়ায় বিচার কার্য বিলম্বিত হয়েছে। তবে এ বছর মামলা শেষ হবে বলে প্রত্যাশা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর। মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করে দোষিদের শাস্তি দাবি করেছেন বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোসহ নারায়ণগঞ্জবাসীরা।
ভয়াবহ সে কাল রাত :
২০০১ সালের ১৬ জুন শনিবার বিকাল থেকেই চাষাড়া শহীদ মিনার গা ঘেষা আওয়ামী লীগ অফিসে তৎকালীন এমপি শামীম ওসমানের গণসংযোগ কর্মসূচিতে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে জড়িত নেতৃবৃন্দরা জড়ো হতে থাকেন। রাত ৭টার মধ্যে পুরো অফিস লোকে লোকারণ্য হয়ে পডে। কিন্তু তারা কেউ জানতেন না তাদের প্রাণের স্পন্দন কেড়ে নিতে অথবা কারো অঙ্গহানি করার জন্য সেখানে পুঁতে রাখা হয়েছে শক্তিশালী বোমা। হলরুমের একেবারে দক্ষিণ দিকে ফতুল্লা–সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বসে এলাকার মানুষের কথা শুনছেন। একেকজন একেক সমস্যা নিয়ে আসছেন। কারো চাকরির সুপারিশ, কারো চিকিৎসা সংক্রান্ত তদবির, কারো ভর্তির সমস্যা। হলঘর পার হয়ে একটি কক্ষ। সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের খাস কক্ষ। হলঘরের পরের ঘরটিতে তখন আলোচনায় বসেছিলেন দেওভোগ, নারায়ণগঞ্জ ইউনিয়ন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়মী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা।
যেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন, এড. খোকন সাহা, রফিক, তৎকালীন চাষাঢ়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহম্মেদ (প্রয়াত), সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ লুৎফর রহমান সহ কযেকজন। কয়েক দিন পরেই নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে জনসভা করবেন শামীম ওসমান। সভার আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। সভা শেষ করার কথা শামীম ওসমানের। কিন্তু মানুষের কথা শুনতে শুনতে উঠে আসতে পারছিলেন না তিনি। তাই ফোন করে আনালেন তার পিএস, কৃষক লীগ নেতা চন্দন শীলকে। চন্দন শীলকে দায়িত্ব দেয়ার পর তিনি ভেতরে ঢুকছিলেন সভায় যোগ দিতে। শামীম ওসমান ওঠার পরপরই রাত পৌনে ৯টায় এতক্ষন তার বসে থাকার স্থানের অদূরেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে শক্তিশালী বোমার।
কৃত্রিম পায়ে ভর করে মামলার দ্রুত নিস্পত্তি এবং দোষীদের শাস্তির অপেক্ষায় চন্দন শীল :
বোমা হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি চন্দন শীল। কিন্তু পা দুইটি সারা জীবনের জন্য হারাতে হয়েছে। হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। কৃত্রিম পা নিয়ে কোনোমতে চলাফেরা করেন।তিনি বলেছেন, মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি, তাই একে আর ভয় পাই না। যারা চাষাঢ়াসহ সারা দেশে এ বর্বরোচিত বোমা হামলা চালিয়েছে, আমৃত্যু তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাব। বোমা হামলার মামলাগুলোর অগ্রগতি হয়েছে এটা ভালো । তবে মামলাটির দ্রুত নিস্পত্তি এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।
আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL