স্টাফ রিপোর্টার (আশিক): গত সোমবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম থেকে একজন সচেতন নাগরিক বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্যের একটি লিংক শেয়ার করেন। লিংকে সংযুক্ত ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর ১ নং রেললাইনের নিকটবর্তী এলাকায় কিছু উচ্ছৃঙ্খল কিশোর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র হাতে আশেপাশের দোকানপাটে ভাংচুর করছে ও মারপিট করছে। ভিডিওর সাথে সংযুক্ত টেক্সট-এ দাবী করা হয় যে এটা একটা কিশোর গ্যাং এর কাজ। তারা অত্যন্ত বেপরোয়া। তারা দোকানে ছিনতাই করে। হকার্সদের সাথে মারামারি করে। যখন তখন যার তার সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়। আশঙ্কা করা হয়, যে কোনো সময় আরো বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা এমনকি মার্ডারের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওসি পাঁচলাইশ জাহিদুল কবিরকে প্রেরণ করে এ বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশনা দেয়। এর প্রেক্ষিতে, ওসি পাঁচলাইশ তাৎক্ষনকিভাবে ইন্সপেক্টর তদন্ত কবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার থানার একটি টিমকে এই ঘটনা তদন্তে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নিয়োজিত করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, উক্ত কিশোরগণ বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচলাইশ থানা এলাকায় এসে এ ধরনের তান্ডব চালিয়েছে। আরো জানা যায়, এই চক্রটি বিভিন্ন সময় ভাড়ায় খাটে। অর্থের বিনিময়ে তারা অর্থদাতার বিপক্ষের উপর আক্রমন চালিয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পর অভিযুক্ত কিশোরদের মধ্য থেকে নেতৃস্থানীয় তিনজনকে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সাথে সংযুক্ত অন্যদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। শীঘ্রই বাকিদেরকে আটক করা হবে। আটককৃত এবং অবশিষ্টদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শ্রদ্ধান্তে
মো. সোহেল রানা
এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)
বাংলাদেশ পুলিশ