সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। নিয়াজুলকে ‘সন্ত্রাসী, গুন্ডা’ অ্যাখ্যা দেওয়ারও প্রতিবাদ জানান তিনি।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সংলগ্ন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় নিয়াজুলের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। একই সাথে নারায়ণগঞ্জের চার খলিফা বলে পরিচিত সারোয়ার, মাকসুদ ও লালকে নিয়েও কথা বলেছেন এই সাংসদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো মরেই গেছি। আমি, চন্দন, আমরা তো নাই। আজকে অনেক কথা বলা হয়।
নিয়াজুলের সমন্ধে কথা বলা হয়। এই নিয়াজুল কে? কারা এরা? এরাতো আমারই হাত দিয়ে তৈরি হয়েছিল। এই কারণে এই নিয়াজুল, মাকসুদ আজকে নাই। কারা মাকসুদকে মারিয়েছে? পারভেজ নাই। এই নিয়াজুল, সারোয়ার, মাকসুদ, লাল, নাসির; এদের যে ব্যাচটা কোন পদ-পদবী জীবনে চায় নাই।
আমি এই রকম কর্মী জীবনে পাই নাই। এই নিয়াজুলকে ৯৫ সালের শেষ দিকে অক্টো অফিসের সামনে বিএনপির সন্ত্রাসীরা একটা-দুইটা না ৭টা গুলি করেছিল। ডেডবডি ভেবে ফেলে রাখা হয়েছিল। ইসদাইরের ছেলেরা উদ্ধার করেছিল। আমরা শুনলাম নিয়াজুল মারা গেছে। দ্রুতগতিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। সাত ঘণ্টা অপারেশন করা হয়েছে।’
নিয়াজুলের বড় ভাই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম সুইট। আমরা পাগলা বলে ডাকতাম। চাওয়া পাওয়ার কিচ্ছু ছিল না। ২০০১ এর পরে বার বার বলা হইলো নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে আসো, ঢাকায় থাকো। শুনলো না। কালো পতাকা দেখালো খালেদা জিয়াকে। গ্রেফতার করে জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হলো।
জেলখানা থেকে রিমান্ডের নামে বের করে সেই সুইটকে গুলি করে হত্যা করা হলো। তাদেরকে আজকে অনেকেই বলে সন্ত্রাসী আর গুন্ডা। কেউ বরিশাল পাঠাতে চায়। কেউ আইসিটি আইনে মামলা করতে চায়। স্বাধীনতার আগে কে কী ছিলেন, কই থেকে কি করছেন সবই জানি। যাই হোক এই প্রসঙ্গে পরে এক সময় বলা যাবে।’
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর সঞ্চালনায় কর্মীসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, ওয়াজেদ আলী খোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল হোসেন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াতে আলম সানি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।