সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
জোরপূর্বক মুখে টেপ লাগিয়ে তুলে নিয়ে রুমি আক্তার কে ধর্ষণ করলো পুলিশ বলছে প্রেমের সম্পর্ক, এমনটাই জানালেন ধর্ষিতার বোন মুক্তা আক্তার।
গত বুধবার ১৮ (নভেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি নতুন আইলপাড়া এলাকায় গার্মেন্টসে যাওয়ার পথে মুখে টেপ লাগিয়ে মোখলেস হাজীর ৬ তলা ভবনের ৫ তলার একটি রুমে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে সোহেল (২৮)।
দরজায় তালা দিয়ে বাহিরে পাহাড়া দেয় সহযোগী নুরইসলাম। ধর্ষিতা এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানালে সহযোগী নুরইসলাম(৩০)কে আটক করে টের পেয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষক সোহেল।
জানা যায়,ধর্ষনের বিষয়টি টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করার জন্য নতুন আইলপাড়া আল-ফালাহ জামে মসজিদের সভাপতি আবু মুসা ধর্ষিতার বড় বোন ও বোন জামাইকেও হুমকি দিয়ে বলেন মামলা করে কি করবা কিছু হবে না এর চেয়ে ভালো কিছু টাকা নিয়ে চুপ হয়ে যাও কিন্তু সাংবাদিক বিষয়টি জেনে যাওয়ায় ধামা চাপা দিতে ব্যর্থ আবু মুসা।
সন্ধ্যার পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় খবর দিলে এসআই মোঃ রফিক ঘটনাস্থলে আসলে এলাকাবাসী সহযোগী নুরইসলামকে তার কাছে সোপর্দ করে তবে ধর্ষক সোহেলকে ধরতে পারেনি। পরে ধর্ষিতাসহ বোন, বোন জামাই ও আসামীকে নিয়ে থানায় যায়।থানায় গিয়ে ধর্ষিতার বোন মামলা করতে চাইলে পুলিশ ঘুড়িমুশি শুরু করে।
সাড়ারাত গিয়ে সকাল অবধি থানার বারান্দায় কাটিয়ে দেন কিন্তু পুলিশ তখনও মামলা বা ধর্ষিতাকে মেডিকেল টেস্টে নেওয়ার জন্য কোন তৎপর নেই উল্টো ভুক্তভোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ ভয়ভীতি দেখায় এমনটাই সাংবাদিকদের জানায় ধর্ষিতার বড় বোন।
তিনি আরো বলেন, আমাকে যখন মামলা করতে ডাকলেন তখন আমার কথা না শুনে তারা নিজে মতো করে মামলা লিখলেন এবং আমাকে ধমক দিয়ে বলে তোরা যা বলতাছত সব মিথ্যা যা লিখছি তাই সত্য। পরে ধর্ষিতার বোন মুক্তা আক্তারকে বাদী করে পুলিশের মনগড়া একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নং- ২৭।
জোর করে মুখে টেপ লাগিয়ে ধর্ষণ অথচ পুলিশ কেনো মামলা লিখলো প্রেমের কারনে এ বিষয় জানার জন্য সাংবাদিকরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুকের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তুু তিনি ফোন রিসিভ না করে বার বার ফোন কেটে দেন।