সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
বন্দরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক ইলিয়াসের পরিবারকে সমবেদনা ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন দৈনিক স্বদেশ আমার পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও বন্দর থানা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক খান সোহেল।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় বন্দর উপজেলাধীন জিওধরা এলাকায় নিহত সাংবাদিক ইলিয়াসের নিজ বাসায় গিয়ে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
এসময় খান সোহেল বলেন, সাংবাদিক শেখ ইলিয়াস হত্যাকান্ডে খুবই মর্মাহত। আমি সব সময় ইলিয়াস ভাইয়ের পাশে ছিলাম এবং এখনও আপনাদের পরিবারের পাশে থাকবো। আজকে সংবাদ প্রকাশের জেরে তাকে হত্যা করেছে, হয়তো ভাবছে ইলিয়াস নিরিহ তাকে খুন করে পার পেয়ে যাবো এ ধারণা সম্পূর্ন ভুল ছিল। খুনিরা কখনও এ হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পাবে না। সর্বক্ষণ আমরা এ মামলা বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ বলেন, সাংবাদিক শেখ ইলিয়াস ভাই খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। তার মত মানুষ খুবই কম আছে, আজকে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন জন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। বাকী আসামী গুলো যেখানই থাকুক না কেন তারা পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
খান মাসুদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনও অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয় না। অপরাধীরা যতই বড় শক্তিশালী হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী তাদের একটুও ছাড় দিবে না। আর অপরাধীদের কোন দল নেই, তারা শুধু অপরাধী। নিহত সাংবাদিক শেখ ইলিয়াসের পরিবারের উদ্দেশ্য করে খান মাসুদ বলেন, খুনিরা পালিয়ে বাঁচতে পারবে না, তাদের বিচার এ বাংলার মাটিতেই হবে। আমরা এ মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছি, চার্জশিট থেকে একটি আসামী বাদ পড়বে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক বিজয় পত্রিকার প্রকাশক হাজী কামাল প্রধান, পথের সময় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক তৌকির রাসেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা মাসুম আহমেদ, কলাগাছিয়া ইউপি পরিষদের সাবেক ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউসুফ আলী প্রধান, বন্দর থানা প্রেস ক্লাব’র যুগ্ম- সাধারন সম্পাদক শাকির আহমেদ বাপ্পী জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও জাগো নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডট কমের বার্তা সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম, বন্দর মডেল প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সাংবাদিক জি এম সুমনসহ স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গরা।
পরিশেষে নিহত ইলিয়াসের পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।