সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বায়তুল সালাত জামে মসজিদ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তল্লার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
জানা গেছে, এ বিষয়ে হতাহতের ঘটনায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) চূড়ান্তের পথে। এতে ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ৩৬ জনের বিষয়ে কাজ চলছে বলে সিআইডি সূত্র জানিয়েছে। এই ৩৬ জনের মধ্যে তিতাসের আটজন, ডিপিডিসির দুইজন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ২৬ জন সদস্য রয়েছেন। তবে এটা কম বেশি হতে পারে।
এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, কর্মী ইসমাইল প্রধান, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইউব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মনিবুর রহমান চৌধুরী এবং অভিযোগপত্রে ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের মিটার রিডার আরিফুর রহমান ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিপিডিসির দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জামিন পেয়েছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহত ও আহতের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছে।