সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এসও রোর্ডের মেঘনা ওয়েল ডিপো এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭টি ড্রাম ভর্তি ১,১৫০ ( এক হাজার একশত পঞ্চাশ) লিটার চোরাই তেল উদ্ধার করেছে র্যাব -১১ ।
সোমবার ( ২৬ অক্টোবর) দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে এ চোরাই তেল উদ্ধার করে।
এ সময় চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ মাহবুবুর রহমান মামুন (৪৫)’কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় চোরাই সিন্ডিকিটের সদস্য মোঃ আরিফ (৩৫) কৌশলে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত রবিবার (২৫ অক্টোবর) একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭ টি ড্রাম ভর্তি ৭,৬৬০ লিটার চোরাই তেল উদ্ধারসহ মোঃ শাহজাহান (৩৫) নামক চোরাই চক্রের সক্রিয় এক সদস্য’কে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সিপিএসসি আদমজীনগর) মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান , সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অবস্থিত মেঘনা ও পদ্মা ডিপো কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি চোরাই তেলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে যা বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় খবর ও অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে আসে। এই ডিপোগুলো হতে প্রতিদিন শত শত তেলের লরী তেল ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।
এই সিন্ডিকেটের কাছে কিছু অসাধু লরীর ড্রাইভার ও হেলপার নামে মাত্র মূল্যে তেল ভর্তি লরী থেকে চুরি করে তেল বিক্রি করে। চোরাই চক্র এই তেলের সাথে ভেজাল তেল মিশিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। এই তেল ব্যবহার করে গাড়ীর ইঞ্জিন ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ মাহবুবুর রহমান মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং পলাতক আসামী মোঃ আরিফ (৩৫) আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ তেল চুরির অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।
তারা অভিনব কৌশলে অবৈধ উপায়ে জ্বালানী তেল সংগ্রহ এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে মজুদ করে অবৈধভাবে কেনাবেচা করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।