সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নিহত সাংবাদিক ইলিয়াসের বাড়িতে ইউএনও, ভূমি অফিসার গিয়ে পরিবারকে সমবেদনাসহ সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খানের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিতসহ সাংবাদিক মহলের সহমত প্রকাশ করার পর অবশেষে নিজের দায়িত্ববোধের বিভেকে নাড়া দিল। সাংবাদিক ইলিয়াস এর পরিবারের পাশে দাড়ালেন বন্দর ইউএনও। সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত সাংবাদিক শেখ ইলিয়াসের পরিবারকে সমবেদনা জানালেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার।
হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ১২দিন পর শনিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১.৩০ টার দিকে স্বশরীরে ইলিয়াসের জিওধরাস্থ বাস ভবনে ছুটে যান। এ সময় তিনি ইলিয়াসের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং হত্যাকারীর যাতে কোনভাবেই ছাড় না পায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিশেষে ইলিয়াসের স্ত্রী-সন্তানদের বসবাসের জন্য সরকারিভাবে গৃহায়ণ বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করবেন বলে অবহিত করেন। সাংবাদিক ইলিয়াসের পরিবারের খোজ-খবর নেয়াকালে ইউএনও শুক্লা সরকারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি)আসমা সুলতানা নাসরিন।
উল্লেখ্য যে, বন্দরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ স্বাধীনতার পর এমন অবস্থা দেখা যায়নি। পুলিশ প্রশাসন ব্যার্থ হচ্ছে। আমারা সাংবাদিক মহল কঠোর অবস্থানে যাব এমন বক্তব্য রাখেন বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ার মোবারক হোসেন কমল খান।
তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে বন্দরের আইনশৃংথলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। সাংবাদিক ইলিয়াস হহত্যারগত এক সপ্তাহে ধর্ষন,ডাকাতিসহ ৩টি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। তালতলা এলাকাটি ক্রাইমজোনে পরিনত হয়েছে।
প্রতিনিয়ত ছিনতাই,ডাকাতির ঘটনা কমছেনা কিছুতেই। প্রকাশ্যে সাংবাদিক ইলিয়াস মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন হলো। ইলিয়াস একজন সাংবাদিকইনা সে রাষ্ট্রের একজন নাগরিকও ছিলেন। তাঁর বৃদ্ধ মায়ের আহাজারী, কোন সহমর্মিতাটুকুও পায় নাই। বন্দরের আইনশৃংখলা রক্ষায় সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা নিতে হবে।
তিনি আইনশৃংখলা রক্ষা ডিসি ও এসপিকে এনে স্পেশাল সভা করে জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্থরের সকলকে শপথ গ্রহন করে মাঠে নামার পরামর্শ দেন।