সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান বলেছেন বকুল পালদের মতো লোকরা ছিলো বলেই আজকে এ মন্দির হয়েছে, তিনি যদি এ জায়গা না দিতেন তাহলে এটা হতো না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নগরীর নতুন পালপাড়া পুর্ন নির্মিত সার্বজনিন পুজা মন্দিরের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই নারায়ণগঞ্জ টাকে আমরা সুন্দর করে গড়তে চাই নতুন প্রজন্মের জন্য, সকল সমস্যার সমাধান হলো আলোচনার টেবিল, এ বিষয়ে আমি মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে কথা বলেছি আমরা অচিরেই বসবো।
সেলিম ওসমান স্হানীয়দের দাবী সম্পর্কে বলেন জিউস পুকুর কেউ নিয়ে যায়নি এটা নিয়ে মামলা চলছে। আইনে যারা মালিক তারাই পাবে, এটা নিয়ে আলোচনায় বসলে সমাধান হবে। খানপুর হাসপাতাল প্রসঙ্গে বলেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তার বিচার না করে তাকে বদলি করে দেওয়া হলো, আবার যারা সরকার হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিলো, কিন্তুু ঠিকাদের প্রতিষ্ঠান কাজ না করতেই ৩০% টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেলো, তাই আমি হাসপাতালের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি, কারন এটা মন্ত্রানালয় দেখে কিছু চাইলে পাওয়া যায়না। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এই হাসপতালকে ৫শ্ব শয্যায় উন্নিত করবেন।
সেলিম ওসমান বলেন বন্দরে ২টি সেতু হওয়ার কথা কিন্তুু নানা জটিলতার কারনে তা হচ্ছে না তাই আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন। পূর্ব থেকেই ধর্মের গোরামীর কারনে বিদ্বেষ আছে, এর মধ্যে থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পুজার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন সকলেই স্বাস্হ্যবিধি মেনে উৎসব করবেন নিজেদের পরিবার কে রক্ষা করে।
মন্দির কমিটির সভাপতি এ্যাড,মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে ও রিপন ভাওয়ালের সন্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, এফবিসি আইয়ের পরিচালক প্রবির কুমার সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড,খোকন সাহা,সহ সভাপতি চন্দন শীল, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপক কুমার সাহা, সাঃ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, অরুন কুমার দাশ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়নগন্জ চেম্বারের সভাপতি খালেদ হায়দার খাঁন কাজল, কাউন্সিলার শওকত হাসেম শকু,শারমিন হাবিব বিন্নি, সাবেক কাউন্সিলার মনিরুজ্জামান মনির, জমিদানকারী বকুল চন্দ্র পাল, যুব সংহতির সভাপতি মোঃ নুর ইসলাম, মোঃ সুমন, বিষ্নু সাহা,লিটন চন্দ্র পাল, উত্তম কুমার সাহা, প্রদিপ কুমার দাশ প্রমুখ।