সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা এবং স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
রোববার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।
এর আগে, রবিবার নোয়াখালী থেকে আরও দুই আসামি জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুর রহিম ও রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলার চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশিক বিল্লাহ জানান, গত রাতে নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। দেলোয়ার নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছে খবর পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার বাহিনীর বাদলকেও গ্রেফতার করেছে র্যাব৷ তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জের চিটাগং রোড থেকে রাত ২ টা থেকে ২.৩০ টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২রা সেপ্টেম্বর স্বামীকে পাশের ঘরে বেঁধে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় বখাটে বাদল, দেলোয়ার, কালাম ও তার সহযোগীরা। বাধা দিলে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতা গৃহবধূর পুরো পরিবারকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে অভিযুক্তরা। ঘটনার ৩২দিন পর রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। পরে, বাড়ি ছাড়া গৃহবধূকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন।
কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।