সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
থানায় মিথ্যা জিডি করার পরও থেমে নেই বাসের হেলপার মাসুদের প্রতারণা। চালিয়ে যাচ্ছে ঘর দখলের পায়তারা।
জামাল তালুকদার তার ভাই,কামাল তালুকদারকে বিদেশ পাঠান। বিদেশ যাওয়ার আগে তার স্ত্রীকে তার মায়ের কাছে রেখে যান। এরপর মাসুদ তার ৩য় ভাইয়ের (কামাল তালুকদার) স্তীকে তার মায়ের ঘর থেকে স্ত্রীকে সরানোর জন্য মাসুদ তার ভাতিজাকে ফিটারে প্রসাব করে তা তার ভাতিজাকে খাইয়ে দেন। এরপর তার ভাতিজা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর কামাল তালুকদারের স্ত্রী সেই ঘর ছাড়তে বাধ্য হন। কতটা নিকৃষ্ট মনের হলে নিজ ভাতিজাকে এমন করা যায়।
এছাড়াও মাসুদ জামাল তালুকদারের পরিচয়ে চলাফেরা করে। একবার মদ পান করার কারণে তাকে চাষাড়া ফাড়ি থেকে জামাল তালুকদার নিয়ে আসেন। আবার কালির বাজার লারকিপট্টিতে মাসুদকে বিএনপির নেতারা আটকে রাখেন। সেখান থেকেও তাকে জামাল তালুকদার ছুটিয়ে নিয়ে আসেন। আর মাসুদ এখন তার সেই ভাইয়ের সাথেই প্রতারণা করে ঘর দখলের চেষ্টা করছে।
থানায় জিডি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর এখন নতুন করে মাসুদ বিভিন্ন মহলের কাছে গিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। যদিও তার কাছে নেই কোন প্রমাণ নেই কোন কাগজপত্র।
এর আগে মাসুদ তার অন্য ভাই বোনদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে নতুন করে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে।
এমনকি সই দেয়া স্ট্যাম্প নিয়ে সাংবাদ অফিস ও অন্যান্য জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন কায়দা খুজে সাংবাদিক জামাল তালুকদারকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
বাসের হেলপার মাসুদ তার বোন সেলিনা তালুকদারকে দিয়ে সাংবাদিক জামাল তালুকদারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করে। যা সম্পুর্ণই বানোয়াট।
এছাড়াও সাংবাদিক মাসুমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাসুম রাতের আধারে মাদক স্পটে কি করেন।
খানপুর রেল লাইন, চাষাড়া রেল লাইন, লারকিপট্টি ও ৫নং ঘাট রেললাইনেও তাকে দেখা যায়। মাসুম অনেকের কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে কৌশলে ধান্দা করেন। এখন তার নিজের ভাই সাংবাদিক জামাল তালুকদারকেও তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট জিডি করে ঘর দখলের চেষ্টা করছেন।
ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ঘর নির্মাণ হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুর রিসিট কাগজ এমনকি সেই ঘরের বিদ্যুৎ বিলের মিটার ও জামাল তালুকদারের নামে। বিদ্যুৎ বিলের কাগজে ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রিসিটেও জামাল তালুকদারের নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। প্রথমবার বিদেশ থেকে আসার পর জামাল তালুকদার তার নিজ অর্থায়নে এই ঘর নির্মাণ করেন। নির্মাণ কাজে ৬ বান টিন, ৬০ হাজার টাকার সিট, হাইসা বাটাম, লেবার খরচ, কাঠমিস্ত্রীর খরচ ও বিভিন্ন খরচ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা তিনি ব্যয় করেন।
দ্বিতীয় বার ঘর মেরামতে তিনি সকল খরচ বাবদ ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করেন। এছাড়াও ঘরের সকল আসবাবপত্র তার নিজ খরচে কেনা। তাই মাসুদের কাছে সঠিক প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও সে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে মিথ্যা প্রতারণা করে ঘর দখলের চেষ্টা করছে।
সাংবাদিক জামাল তালুকদার এই প্রতারণার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনকে তদন্ত করে প্রতারক মাসুদকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন।