সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
থানায় মিথ্যা জিডি করার পরও থেমে নেই বাসের হেলপার মাসুমের প্রতারণা। চালিয়ে যাচ্ছে ঘর দখলের পায়তারা।
মাসুম নতুন করে তার অন্য ভাই বোনদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে নতুন করে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। এমনকি সই দেয়া স্ট্যাম্প নিয়ে সাংবাদ অফিস ও অন্যান্য জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন কায়দা খুজে সাংবাদিক জামাল তালুকদারকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
সাংবাদিক জামাল তালুকদারের বড় ভাই ইসমাইল তালুকদারকে ২ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন ব্যাবসার কাজে কিন্তু ইসমাইল তালুকদার খানপুরের আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আবার তার ছোট ভাই কামাল তালুকদারকে তিনি ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন। কামাল তালুকদারও তার থেকে ধার নেয়া ৪ লক্ষ টাকা এখনও ফেরত দেয়নি। সাংবাদিক জামাল তালুকদারের কাছে ধার দেয়া টাকার সব স্ট্যাম্প আছে।
সাংবাদিক জামাল তালুকদারের দুই ভাই তার কাছ থেকে ধার নেয়া টাকা এখনও পর্যন্ত ফেরত দেয়নি। তারাও প্রতারণা করেছে। তাই তাদের সাথে নিয়ে মাসুমও এখন বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে সাংবাদিক জামাল তালুকদারের ঘর দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে।
এর আগে বাসের হেলপার মাসুম তার বোন সেলিনা তালুকদারকে দিয়ে সাংবাদিক জামাল তালুকদারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করে। যা সম্পুর্ণই বানোয়াট।
সাংবাদিক জামাল তালুকদারের মাতা জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি তার মাতাকে তার নিজ অর্থায়নে ৭২ নং কুমুদিনী বাগানে বিল্ডিং আকারে একটি দোচালা ঘর তুলে দেন। সেই ঘর মেরামতে তিনি সকল খরচ বহন করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জামাল তালুকদার সেই ঘরের মিটারের কারেণ্ট বিল পরিশোধ করে যাচ্ছেন।আর সেই মিটারও তার নামে নেয়া। তার মা মারা যাওয়ার পর তার বোন সেলিনা তালুকদারকে সেখানে থাকতে দেয়া হয় এবং ৩হাজার টাকা ভাড়া ধার্য করে দেয়া হয়। জামাল তালুকদারের সহধর্মিণী ছায়ানুর তালুকদার কারেণ্ট এর মিটার ও সেই ঘর দেখতে গেলে ঘরের আসবাবপত্রের অবস্থা খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করলে তাকে বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক আচরণ,অপমান করে ও বলে এই ঘর কি তোমার নাকি বলে হুমকি ধামকি দেয়। জামাল তালুকদারের বোন সেলিনা তালুকদার ও মাসুম তালুকদার মিলে এখন সেই ঘর দখলের চেষ্টা করছে। থানায় মিথ্যা জিডি ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদপত্রের অফিসে গিয়ে সাংবাদিক জামাল তালুকদারের বিরুদ্ধে লেখার জন্য পায়তারা করে যাচ্ছে। কিন্তু সেই সব সংবাদপত্রের অফিস থেকে সাংবাদিক জামাল তালুকদারকে জিজ্ঞেস করলে মাসুম তালুকদারের অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি।
এরপর সাংবাদিক জামাল তালুকদারের সহধর্মিণী ছায়ানুর তালুকদার থানায় এই বিষয়ে জিডি করেন।
সাংবাদিক জামাল তালুকদার বলেন, মাসুম তালুকদার সেই ঘর দখলের জন্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে। আর মাসুম তালুকদারকে আমি আমার ভাই এর সম্পর্ক থেকে বঞ্চিত করলাম। তাকে আমি আমার ভাই হিসেবে পরিচয় দিবো না কারণ একজন মিথ্যা ষড়যন্ত্রকারী কখনই আমার ভাই হতে পারে না।
আবার থানার কন্সটেবলরা জানান, থানায় প্রবেশের সময় এক কন্সটেবল জিজ্ঞেস করেন কি সাংবাদিক জামাল তালুকদারের ভাই কি খবর থানায় কি করে এলেন? উত্তরে মাসুম বলেন বোন জিডি করবে তাই এসেছি।
কন্সটেবলরা আরও জানান, পুলিশ অভিজানে গেলে ঐ সময় তারা মাসুমকে কালির বাজার লারকিপট্টি দেখেন। রাত ১২ টার পর একজন সৎ সাংবাদিক লারকিপট্টি কি করেন।
এছাড়াও সাংবাদিক মাসুমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাসুম রাতের আধারে মাদক স্পটে কি করেন। খানপুর রেল লাইন, চাষাড়া রেল লাইন, লারকিপট্টি ও ৫নং ঘাট রেললাইনেও তাকে দেখা যায়। মাসুম অনেকের কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে করেন। এখন তার নিজের ভাই সাংবাদিক জামাল তালুকদারকেও তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট জিডি করে ঘর দখলের চেষ্টা করছেন।
সাংবাদিক জামাল তালুকদার তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন।