সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেরা চাঁদাবাজি করে প্রতিপক্ষের উপর দায় চাপানোর অভিযোগে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ২ নং রেল গেইট এলাকার ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান সিকু। তাছাড়া চাঁদাবাজরা সকলেই মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাতের লোক-কর্মী বলেও অভিযোগে করা হয়।
বুধবার (০৫ আগষ্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান সিকু।
অভিযোগে সিকু উল্লেখ করেন, আমি ও আরো ৪ জন সহ মোট পাঁচজন মিলে ২নং রেল গেইটের চেম্বার রোড, ফকিরটোলা মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে হকার্স বিদ্যুৎ বিতান নামে ব্যবসা শুরু করি। আমিসহ অারো দুই ব্যবসায়ীক পার্টনারদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে খারাপ চরিত্রের কিছু ভাড়াটিয়াদের নিয়ে মানহানিকর বিভিন্ন কর্মকান্ড করছে আলামিন ও ইসমাইল নামে দুই পার্টনার।
এছাড়া নিজস্ব গুন্ডা বাহিনী নিয়ে নিজেরা চাঁদাবাজি করে বিভিন্ন মাধ্যমে উল্টো আমার এবং অন্যান্য পার্টনারদের চাঁদাবাজ উল্লেখ করে বিভিন্ন অভিযোগ দেয় যা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এই সব কার্যকলাপের কথা শুনে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা খুবই ভীত সন্তস্ত্র হয়ে পড়ে। বাড়িতে মহিলারা ও শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।আরো উল্লেখ করা হয়, সরেজমিনে তদন্ত করলে আপনি দেখবেন ফুটপাতে কারা চাঁদা তুলে।
দেওভোগ পাক্কা রোড, বড় মসজিদ গলির মৃত বশির মিয়ার ছেলে টিটু ওরফে কেটু, দিলীপ মিয়ার ছেলে রবিন, সেলিম রেজার ছেলে ফাহিম, সামছু মিয়ার ছেলে রিকু, একই এলাকার কাইল্লা সাহেদ মিলে চাঁদাবাজি করে। এদের মধ্যে ফাহিম কিছুদিন পূর্বে মহিলাসহ বিপুল পরিমাণ মদ নিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। এরা গুলশান মার্কেট হতে করিম মার্কেট পর্যন্ত হকারদের থেকেও চাঁদাবাজি করে। এছাড়া এরা সকলেই সরকারী দলের মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাতের লোক।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভিন্ন দলের রাজনীতি করায় এলাকায় হেয় করার উদ্দেশ্যে পুলিশকে ভুল বুঝানোর জন্য মিথ্যা মামলায় ফাসানোর জন্য কথিত নামধারী লোকজন ও আমার পার্টনারদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হেয় করে আসছে আলামিন ও ইসমাইল। তাই সঠিক তদন্ত করে আসল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানানো হয় অভিযোগে।