সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সাংবাদিক কন্যা স্কুল ছাত্রী ঊর্মি (১০) হত্যা কান্ডের ৩ বছর পার হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ন্যায় বিচারের আশায় রয়েছেন। ২০১৭ সালের ২১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ঊর্মি নিখোঁজ হয়। ২৩ জুলাই রোববার সকালে ঊর্মির অর্ধগলিত ভাসমান লাশ বাড়ির অদুরে পরিত্যাক্ত একটি বাগানের নালা থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই নিহত ঊর্মির পিতা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল অজ্ঞাত আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-জিআর-২৫৫/১৭) পুলিশ তদন্ত শেষে ২৭ জুলাই লম্পট ছগির আকন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। বর্তমানে ছগির উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে মামলার বাদিকে মামলা তুলে নিয়ে একাধিকবার হুমকি দেয়। এঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একাধিক জিডিও করা হয়েছে। জুলফিকার আমীন সোহেল দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ও উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত. রুহুল আমীন আকনের ছেলে। লম্পট ছগির একই বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত. কুদ্দুস আকনের ছেলে।
উল্লেখ্য- ঊর্মির খুনির দৃস্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মঠবাড়িয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, সাংবাদিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছোট্ট মনুদের জন্য ভালবাসা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা চিহ্নিত খুনি ছগির আকনের সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কামনা করছেন।
পিরোজপুর জজ আদালতের আইনজীবি এডভোকেট ফজলুল হক বলেন, ঊর্মি হত্যাকান্ড খুবই স্পর্শকাতর ও মর্মান্তিক পুলিশ সে অনুযায়ি চার্জশীট দাখিল করেছেন। মামলাটি বর্তমানে স্বাক্ষী পর্বে রয়েছে। আশা রাখি বিজ্ঞ আদালত ছগিরের সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিবেন।
যে কারনে নৃশংসভাবে খুন হয় ঊর্মি- খুব তুচ্ছ একটি কথা ফাঁস করে দেওয়ার কারনে উর্মির ওপর পৈচাশিক আচারণ করে নৃশংসভাবে খুন করেছে ছগির। ছগির একটি অশ্লালীন কথা জিজ্ঞাসা করেছিল ঊর্মির কাছে। ওই কথাটা ফাঁস করে দেয়ার কারনে ঊর্মির ওপর ক্ষিপ্ত হয় ছগির। বিদেশে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পেয়ার দেওয়ার কথা বলে সু-কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষন শেষে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পুলিশ ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এমনটাই উঠে এসছে। পুলিশ একমাত্র ছগিরকে দোষী করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।