সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার(২১ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক সদর উপজেলার ১১ টি অস্থায়ী পশুর হাটের মধ্যে ৯ টির আনুষ্ঠানিকভাবে দরপত্র ঘোষণা করেন। বাকি দুইটি হাটের মধ্যে ১টি তে কোনো দরপত্র দাখিল না হওয়ায় এবং আরেকটির দরপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে। আগামী রবিবার(২৬ জুলাই) দুই হাটের দরপত্র ঘোষণা করা হবে।
১১ টি অস্থায়ী পশুর হাটে ১৩০ টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে এবং দাখিল হয়েছে ২৭ টি। যার মধ্যে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা তালতলা সংলগ্ন প্যারাডাইস সিটি মাঠের হাটের ইজারা পান গাজী শাহ আলম টেনু। যার সরকারি ইজারা ছিলো ৯৫হাজার ৫’শ টাকা।
১লাখ ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর এলাকায় আলী আকবর এর নিজস্ব ভূমিয়ে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান নাজির আহমেদ। যার সরকারি ইজারা ছিলো ১লাখ ১৭হাজার টাকা। ৬৭ হাজার ১’শ১টাকার বিনিময়ে গোগনগর ইউনিয়নের চরসৈয়দপুর শান্ত ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন আসলাম মিয়ার নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান খলিল মাতবর। যার সরকারি ইজারা ছিলো ৬৫ হাজার টাকা।
৪১ হাজার টাকার বিনিময়ে গোগনগর ইউনিয়নের বাদশা মিয়ার নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান মোঃ সাইদুর রহমান। যার সরকারি ইজারা ছিলো ৪০ হাজার ৯’শ টাকা। ৭১ হাজার ৫’শ টাকার বিনিময়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের শান্তিধারা এলাকায় হাজী আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর মার্কেট সংলগ্ন খালি মাঠে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান হাজী আব্দুর রাজ্জাক বেপারী। যার সরকারি ইজারা ছিলো ৬৪হাজার ৭’শ টাকা।
৫৬ হাজার টাকার বিনিময়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান সাব্বির আহমেদ হৃদয়। যার সরকারি ইজারা ছিলো ৫৫হাজার ৭’শ টাকা। ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গোগনগর ইউনিয়নের পলি ফ্যাক্টরি সংলগ্ন আলী আকবরের নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান মোহাম্মদ উল্লাহ আল মামুন। যার সরকারি ইজারা ছিলো ৪৪হাজার ৬’শ টাকা।
৭০ লাখ টাকার বিনিময়ে গতবারের কোটি টাকার কুতুবপুর ইউনিয়নের আলীগঞ্জ নদীর পাড়ে মৃত হাফেজ মোক্তার নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান আবু বক্কর। যার সরকারি ইজারা ছিলো ৩৯ লাখ টাকা। ৬১ হাজার ৫’শ টাকার বিনিময়ে গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পাঠাননগর এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পান সৈকত হোসেন।
বাতিল দুই হাট প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী ক র্মকর্তা নাহিদা বারিক বলেন, ১১টি হাটের অনুমোদন হয়েছিলো।
যার মধ্যে ৯টি হাটের সর্বোচ্চ দরপত্র যাদের তাদের দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে কাশিপুর ইউনিয়নের ক্লাব মাঠে যারা দরপত্র জমা দিয়েছিলেন তারা দরপত্রে টাকার অংক না বসানোর কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। অন্যটি হচ্ছে গোগনগর ইউনিয়নের বাড়িরটেক সংলগ্ন মাদবর বাড়ির পশ্চিমপাড় দেলোয়ার হোসেনের নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী হাটটিতে কোন কোন দরপত্র জমা পড়েনি।
তাই এই দুটি হাটের ক্ষেত্রে আমরা এখানে উপস্থিত কমিটির সদস্য যারা রয়েছি সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামীকাল নোটিশ করবো। পরশুদিন তারা আবার কেনার সুযোগ পাবে এবং আগামী রবিবার এখানে দাখিল করবেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে দাখিল করা যাবে। এবং দুপুর ২টা বাজে সকলের সামনেই আমরা সেটির বক্স খুলবো।
\