৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে জাতীয় ৪নেতার স্মরনে নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(৩নভেম্বর)নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠানটি।
নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড.আবু হাসনাত মোঃশহীদ বাদল বলেন,১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতা তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ,ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহম কামরুজ্জামানকে হত্যা করে বিপথগামী কতিপয় সেনা কর্মকর্তারা।কারন শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে যারা বাঙালী জাতীর ৪নেতার নেতৃত্বে ৩০লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ৫০হাজার মা বোনেন সম্ভ্রমের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো।কাউকে সেভ কাস্টরিতে রাখা হলে সরকার তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কিন্তু জাতীয় ৪নেতাকে কারারুদ্ধ করেছিলো ক্ষতি করার জন্য।বঙ্গবন্ধুকে ১৫আগষ্ট হত্যার তিন মাসের মাথায় জাতির ৪নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো যেনো আর কোনদিন বাঙালী জাতি দাড়াতে না পারে।আপনারা জানেন সেদিন বিপথগামী কতিপয় সেনারা বিএনপির ও জামাত মিলে করেছিলো।তারা যখনি ক্ষমতায় এসেছে এই স্বাধীনতাপক্ষের আওয়ামীলীগের উপর তান্ডব চালিয়েছিলো।২০০১ সালে আপনারা নারায়নগঞ্জই দেখেছেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মেরে হাত পা কেটে কখনো কারো আঙুল বা নখ কেটে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।ওদের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই।
দোয়া মাহফিলটি নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক বি.এম রাসেলের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাই, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃইকবাল পারভেজ,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড.আবু জাফর,নারায়নগঞ্জ মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য এড.হোসনে আরা বাবলী,ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল কাদির,মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দীন প্রধান,প্রফেসর ড.শিরিন বেগম,অতিরিক্ত পাবলিক প্রসেকিউটর এড.নূরজাহান বেগম,বন্দর মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ডের সভাপতি জুলহাস সরকার,উজ্জল সরকার প্রমূখ।