সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা নীলফামারী। বইছে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারপাশ। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে প্রকৃতি ও জনজীবন।
গত এক সপ্তাহ থেকে সারাদিন সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষজন কষ্টে আছেন।
ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, জ্বর, ডায়রিয়ায় ভুগছেন শিশু ও বয়স্করা। জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এসব রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রায় সব এলাকা থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন। গত ৯ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অনেক রোগী। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে শিশু ও বয়স্ক মিলে মোট ২৩ জন ভর্তি হয়েছে এবং কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অনেকে।
এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট রোগীর পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে বলে পরামর্শ চিকিৎসকদের।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আমেনা খাতুন জানান, তার শিশুকন্যা পাতলা পায়খানা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করান, দুই-তিন দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. আবু হাসান মো. রেজওয়ানুল কবির বলেন, দেশের প্রান্তিক জেলা নীলফামারীতে বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে। ফলে ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছেন অনেকেই। বাচ্চাদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, হাঁপানি এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সার্বিক দিক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা দিন-রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে।