বন্দর ঘাট থেকে লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের মাঝখানে ছোট যানবাহন এবং দুই পাশে অবৈধ দুকানে ভরপুর। এতে এসব স্থানে যানজটে চাকুরীজীবি ও অসুস্থ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-ফাড়ির ও মুক্তিযুদ্ধ অফিসের সামনে বন্দর ঘাটে অবৈধভাবে অটোরিকশা, মিশুক স্ট্যান্ড ও রাস্তার দুই পাশে অবৈধ দুকান গড়ে তোলা হয়েছে।
শহরের বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির সামনের স্থানে কয়েকটি অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে।
এই সকল স্ট্যান্ড শহরের যানজটে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও পকেট ভারী হচ্ছে কতিপয় পরিবহন চাঁদাবাজদের।
বিশেষ করে বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির সামনে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারিচালিত মিশুক ও অটো রিক্সার কারণে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বন্দর ঘাটের সামনে একজন পোশাকবিহীন লাইনম্যানের দেখে মেলে যে নাকি গাড়ি প্রতি ১০ টাকা এবং প্রতিটি দুকান থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে নিচ্ছে।
তার কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সকাল নারায়নগঞ্জকে জানান,তাকে নাকি খুশি হয়ে মিশুক ও অটোচালিত রিক্সার ড্রাইভার ১০ টাকা করে দেন। এমনকি তিনি এটাও জানান, তার কোন বেতন নেই এখান থেকে যা পান তা দিয়েই তিনি চলেন এবং এই ১০ টাকা ও দুকানের টাকার ব্যাপারে নাকি নৌ-ফাড়ির ওসি পর্যন্ত জানেন।
এ ব্যাপারে বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান সকাল নারায়নগঞ্জকে জানান, তিনি আসলে এই লাইনম্যানকে চাকরিতে আসার আগে থেকেই এখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখছেন কিন্তু প্রতিটি অটো,মিশুক,সিএনজি প্রতি ১০ টাকার বিষয়ে তিনি জানেন সরকার তাকে কোন বেতন দেয় না বলে তিনি টাকা উত্তোলন করেন। তিনি এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের দোষ দিয়ে থাকেন।