প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ শহরে ৩/৪ হাজার মিশুক ও ইজিবাইক প্রবেশ করে। সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহর মিশুকে সয়লাব হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১’শ থেকে দেড়শতাধিক মিশুক ট্রাফিক পুলিশ আটক করে। একেকটি মিশুক থেকে আদায় করা হয় ১৫’শ টাকা। ফলে প্রতিদিন রেকার বিল যা হওয়ার কথা বাস্তবে তার কোনো মিল নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরের খানপুর মোড়, কালীরবাজার, চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবের সামনে, নগরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকা এবং ডিআইটি এলাকার করিম মার্কেটের সামনে কয়েকজন যুবকের আনাগোনা। রেকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপপরিদর্শকরা (এএসআই) ব্যাটারিচালিত এসব বাহন থেকে চাঁদা তুলতে ওই ১০ থেকে ১২ জন যুবককে নিয়োজিত করেছে। তাদের কাজ নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাটারিচালিত গাড়ি জব্দ করা। ওই গাড়ি প্রথমে নেওয়া হয় নগরের চাষাঢ়া ডাকবাংলোর পাশে খালি জমিতে। সেখানে গড়ে তোলা একটি টিনের ছাপড়া ঘরে বসে রেকার বিলের নামে রসিদ দিয়ে জরিমানা করা হয়।
মিশুক চালকরা বলেন এসআই শফিক,আবুল বাশার,হাসান,শহিদুল নারায়ণগঞ্জের অলি গলি থেকে গাড়ি ধরে নিয়ে এসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা নিয়ে রশিদ ছাড়াই গাড়ি ছেরে দেয়। যেখানে সরকার ১৫০০ রাখার অনুমতি দিয়েছে সেখানে তারা কিভাবে ৫০০-১০০০ টাকা নিয়ে গাড়ি ছাড়ে তা কেও জানেনা। আজও কি এই টাকা সরকারি কোষাগারে প্রেরন করা হয় কিনা তা কারো জানা নেই এবং টাকা দিতে দেরি হলে কিংবা টাকা দিতে না পারলে একপর্যায়ে প্রচুর মারধর করে।
নারায়ণগঞ্জ একটি ব্যস্ততম জেলা। জেলা শহরে যানজটের ঘটনা নিত্যদিনের। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় মিশুক, সিএনজি ও ভ্যানগাড়ি আটকের ঘটনা। তবে জেলা ট্রাফিক পুলিশের দ্বারা সব থেকে বেশি রেকার বিল আদায় করা হয় মিশুক থেকে। একটি মিশুক আটক হলে রেকার বিল বাবদ আদায় করা হয় দেড় হাজার টাকা।
এব্যাপারে কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মিলন জানান,অনেক আগেই শহরে যাতে কোনো ভাবেই রিক্সা, ইজিবাইক ও মিশুক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গভঃমেন্ট গার্লস স্কুলের সামনে পুলিশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু বিগত দুই বছর যাবৎ ঐ পুলিশ উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। ফলে মিশুক ও ইজিবাইক পাল্লা দিয়ে শহরে প্রবেশ করছে। এছাড়াও খানপুর দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আসা মিশুকও শহরে প্রবেশ করছে দিনের পর দিন। মনে হয় জেনো শহরে মিশুক যাতে সহজেই প্রবেশ করতে পারে সেজন্যই ট্রাফিক বিভাগ ফাঁদ পেতে রেখেছে।