২ নং রেল গেইট স্টেশনের ভেতরে ঢুকতেই একজন বেরিয়ে এসে অমায়িক ভঙ্গিতে জানতে চাইলেন, কোনটা দরকার? কথায় কথায় জানা গেল, চোলাই মদ থেকে শুরু করে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা— কোনো কিছুই সেখানে দুর্লভ নয়। দরকার কেবল ক্রেতার চাহিদা জানা।
২নং গেইট স্টেশনের সেখানে ছোট ছোট চা-সিগারেটের দোকানে কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন। কোনো কোনো ঘর থেকে গন্ধ ভেসে আসছে। এক যুবক জানালেন, এসব ইয়াবার গন্ধ। সন্ধ্যার পর টি-শার্ট ও জিনস পরা এক তরুণকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেল। একই সময় দুই ব্যক্তিকে ভেতরে ঢুকতেও দেখা যায়। চান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ভেতরে হাত বাড়ালেই মাদক। বাইরে ইউনিফর্ম পরে টহল গাড়িতে ঘুরছেন পুলিশ সদস্যরা, মাঝে মাঝে তাঁদের গাড়ির গতি কমে আসছে। কখনো কখনো কোনো কোনো সদস্য গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছেন।
২নং রেল গেইটের স্টেশনে ঢোকার মুখে কোনো কিছু দরকার কি না জানতে চেয়েছিলেন যে ব্যক্তি, ওখানে থাকতে থাকতেই তেমনই আরও এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন। ওই ব্যক্তি এলাকার একজন খুচরা মাদক বিক্রেতা। তিনি সকাল নারায়ণগঞ্জ কে বলেন, তিনি মূলত গাঁজা বিক্রি করেন, টুকটাক ‘অন্য কিছু’ও বিক্রি করেন। ওই বিক্রেতা বলেন, তাঁর নাম জেনে কাজ নেই। স্পটে এলেই জিনিস পাওয়া যাবে। যে স্পটে দাঁড়িয়ে তিনি কাজ করছেন, পরদিন তাঁকে আর সেখানে পাওয়া যাবে না। ওই জায়গায় মাদক বিক্রি করবেন অন্য কেউ। পরদিন তিনি কোথায় দাঁড়াবেন তা তিনি জানেন না, সেটা ঠিক করে দেবে অন্য কেউ।
২ নং রেল গেইট এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছে, ইমরান,দিপু,রুবেল এর ভাই নয়ন,অসত,ফর্মা উজ্জ্বল,শাহিন,ইমান,পুতুলি,দুলালি,বিল্লাল,তাছলি ও দুলালের মেয়ে অপর্না।
স্থানীয় থান-কাপড় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,এখানে ২৪ ঘন্টা মাদক পাওয়া যায়।এইসকল মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য তাদের ব্যবসা করতে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়।এদের জ্বালায় কোন ক্রেতা এখানে আসতে চায়না।কারন তারা আসলেই তাদের বিভিন্ন ধরনের ছিনতাই,চুরির সম্মুখিন হতে হয়।
তারা প্রশাসনের নিকট অতিদ্রুত এদের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করতে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।