নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি স্থানে বেপরোয়া হয়েছে উঠেছে অবৈধ ইজিবাইক ও মিশুক চলাচল। নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি স্থানেই অনঅনুমোদিত এই বাহনের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল। রাস্তার মাঝেখানে গাড়ি ঘুরানো, যত্রতত্র পার্কিং ও অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজারো মানুষ।
এ ছাড়া যানজটের বিশেষ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ইজিবাইক ও মিশুক। কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই এবং রাস্তার নিয়মনীতি না জেনেই গাড়ি চালানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জরুরি কাজে নিয়োজিত সরকারি, বেসরকারি, যাত্রীবাহী গাড়িসহ রোগীবাহী এম্বুলেন্স সঠিক সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না।
এদের থেকে দুর্ঘটনায় ছাড় পাচ্ছে না সাংবাদিক,সাধারন জনগন পুলিশ কর্মকর্তারাও।
গত ২২ জুলাই রোজ শুক্রবার শহরের সমবার মার্কেটের সামনে বেপরোয়া ভাবে মিশুক চালানোর সময় এক পুলিশ কর্মকর্তার বাইক সহ তাকে রাস্তায় ফেলে দেয়। তাদের এই বেপরোয়া গাড়ী চালানোর ফলে পুলিশ ও দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
সরকারিভাবে এদের নিয়ন্ত্রণ না করলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে ইজিবাইক ও মিশুক চালকেরা। ইজিবাইকের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে মিশুক।
নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, চাষাঢ়া,২নং রেল গেইট,বিশ্বরোড,খানপুর,মেট্রোহল সহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ ইজিবাইক ও মিশুক নিয়ম না মেনে চালানোর কারণে হরহামেশা দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রতিটি পয়েন্টেই ইজিবাইক সিরিয়াল এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তিনজনকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও তারা চাঁদা আদায় ছাড়া আর কোনো কাজ করেন না। তারা প্রতিটি ইজিবাইকের চালকদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন বলেও বেশ কয়েকজন ইজিবাইক চালক অভিযোগ করেছেন।
এমনকি থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।