নারায়ণগঞ্জ শহরের অনেক এলাকায় ঘরে ঘরে এখন কারখানা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এই কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিদ্যুৎ, যার কোনো হিসাব নেই। আবার রাজধানীর আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা গ্যারেজগুলোতে বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এরও কোনো হিসাব নেই। ফুটপাথের দোকানগুলোতে অগণিত লাইট জ্বলছে; তারও হিসাব রাখছে না কেউ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো হচ্ছে চোরাই বিদ্যুৎ দিয়ে। আর এই বিদ্যুৎ চুরির মাধ্যমে কেউ কেউ রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জে এমন অসংখ্য কারখানা রয়েছে। যার অধিকাংশই চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে।
নারায়নগঞ্জের অলিগলিতে গড়ে উঠেছে রিকশা গ্যারেজ। শহরের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে দু-চারটি রিকশা গ্যারেজ নেই। এই গ্যারেজে নিয়মিত বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা ঘটছে।
নারায়নগঞ্জের ১নং মাছ ঘাটে বড় শাহজাহানের শেল্টারে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। যা নাকি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছে রাতভর।
প্রশাসন যদি এইসব দিকে একটু নজরদারি রাখতেন তাহলে দেশে অনেক বিদ্যুৎ আয় সম্ভব হতো।
নারায়নগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তার বাসার পাশেই একটি গ্যারেজ রয়েছে। যে গ্যারেজে প্রতি রাতে অন্তত ২০টি অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ হয়। এই চার্জ বৈধ মিটারের বিদ্যুৎ দিয়ে হয় না। সরাসরি খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎসংযোগ নিয়ে সেই বিদ্যুৎ দিয়ে রিকশার ব্যাটারি চার্জ হয়।
চাষাঢ়া এলাকার এক গ্যারেজ মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৈধ লাইন দিয়ে চার্জ দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়া দেয়া যায় না। তাতে পোষাবে না। যে কারণে প্রতিটি গ্যারেজেই অবৈধ লাইন দিয়ে ব্যাটারি চার্জ হয়।
নারায়নগঞ্জের অন্যতম বিদ্যুৎ চুরির ক্ষেত্র হচ্ছে ফুটপাত। প্রতিটি ফুটপাথে সন্ধ্যার পরে যে লাইটগুলো জ্বলে তার প্রায় অধিকাংশই অবৈধভাবে জ্বলছে। এগুলো সরাসরি বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে সংযোগ দিয়ে জ্বালানো হয়। ওগুলো জেনারেটর দিয়ে জ্বালানোর কথা বললেও জ্বলছে লাইনের বিদ্যুৎ দিয়েই।