সকাল নারায়ণগঞ্জ
শহর ও শহরতলীর আলোচিত মাদক স্পট হিসেবে এক সময় সুপরিচিতি ছিলো ফতুল্লা থানাধীন ও সদর থানাধীন ২ নং রেল গেইট এলাকা,মাসদাইর বাজার, ভুইয়ারবাগ, গলাচিপা ও নন্দীপাড়া এলাকার কয়েকটি মাদক স্পট। এসব স্পটে চলতো ডিবি পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত মনিরুজ্জামান শাহীন ওরফে বন্দুক শাহীনের নেতৃত্বে মাদকের জমজমাট মাদক ব্যবসা। বন্দুক শাহীন ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর প্রায় বেশ কয়েক বছর চুপ ছিলো তার নিয়ন্ত্রনাধীন মাদক ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে অনেক মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা ছাড়াও হয়েছিলো। তাছাড়া মাদক নির্মূলে পুলিশ বাহিনীও নিয়মিতভাবে টহল দিতো ওইসব মাদক স্পটগুলোতে। যার ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিলো।
তবে বর্তমান সময়ে করোনা সংকটে যখন পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করোনা সংকট মোকাবেলায় এক গুচ্ছ মানবিক কাজে ব্যস্ত ঠিক তখনই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবারো মাথাচারা দিয়ে উঠেছে ২ নং রেল গেইট এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। অনেকটা প্রকাশ্যেই ইয়াবা, গাজা ও ফেনসিডিলের খুল্লাম খুল্লা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সবচেয়ে বেশি চলছে ইয়াবার রমরমা বানিজ্য। আকারে ছোট আর বহনে সহজ হওয়ায় দিন-রাত চলছে ইয়াবার বেচাকেনা।
শহরের ২ নং রেল গেইট এলাকায় পুলিশের টহল টিম থাকা সত্ত্বেও প্রাকাশ্যই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা,মদ,গাজা,ফেন্সিডিল হেরোইন সহ অন্যান্য মাদক।