সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রশাসনের নাকের ডগায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ও সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা।এসবের বিকট হাইড্রোলিক হর্ন কানে পীড়া দিচ্ছে শিশুসহ পথচারীদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের হাইড্রোলিক হর্ন স্বাভাবিক হর্নের চেয়ে অনেক বেশি অস্বস্তিকর, যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করছে। তেমনি বেপরোয়া চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
প্রশাসনের নজরদারির অভাবে প্রতিদিন বাড়ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা।
পুলিশ বলছে, ব্যাটারি রিক্সার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে তারা । তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাসোয়ারার মাধ্যমে চলছে ব্যাটারি রিক্সা। নিষিদ্ধ এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার অভাবে লাগামহীন ভাবে বাড়ছে ব্যাটারি রিক্সা। ১৪/১৫ বছরের শিশু কিশোরদের হাতে তুলে দিচ্ছে এই অনিরাপদ যান।
ওদের বেপরোয়া চালানোর ফলে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অপরদিকে, ব্যাটারি রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বাড়ছে। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব রিক্সায় ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগও বাড়ছে।
যার ফলে বিভিন্ন সময় ঘটছে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা।যায় নারায়নগঞ্জের চাষাড়া,২নং গেইট,বিশ্ব রোড,খানপুর এলাকাসহ নগরীর সর্বত্রই ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলছে। কেবল অলিগলি নয়, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও অনেকটা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই যান।
পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে অবাধে চলাচল করে। বেশীর ভাগ সময় পুলিশ আটক করলেও ম্যানেজ করে ছাড়িয়ে নেয়।
এই ব্যাটারি রিক্সা টিকিয়ে রাখতে অনেকেই মরিয়া। কারন এর মাধ্যমে চলে মাসিক মোটা অঙ্কের লেনদেন।
চালকরা বলছে, অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেখলে আগে পুলিশ পথরোধ করলেও, এখন আর তেমন বাধার মুখে পড়তে হয় না তাদের। ম্যানেজ এবং মাসোয়ারার বিনিময়ে চালানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ও পরিপূর্ণ নজরদারির অভাবে এই এত বছরেও সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করতে পারেনি সরকার বরং দিন দিন বাড়ছে।