সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, আজকের মধ্যে যদি হাফেজ ২ সহোদর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী ৩ তারিখ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশে বিক্ষোভ করবে ইনশাআল্লাহ। ১লা মে শ্রমিক দিবসে সকল শ্রমিকদের অঙ্গীকার করতে হবে যেকোনো ধরনের শ্রমিক হত্যার বিচার অবশ্যই করতে হবে। এতে কোন টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না।
আজ ১ মে”২০২৪ খ্রী. বুধবার বিকাল ৩ টায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর সভাপতি শ্রমিক নেতা মাওলানা হাবিবুল্লাহ হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও র্যালীতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি মোস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুহা. শাহাদাত হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুহা. ফারুক হাওলাদার।
আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজালাল সভাপতি, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর,
গাজী মুহাম্মাদ আলতাফ হোসেন- সভাপতি, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, হাফেজ মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম- সভাপতি, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মুহাম্মাদ ওমর ফারুক- সভাপতি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর।
মাওলানা ইমতিয়াজ আরও বলেন, ফরিদপুরের দুই শ্রমিকের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে না পারাটা রহস্যজনক, প্রশাসন ইচ্ছা করলে স্থানীয় দোষী চেয়ারম্যান, মেম্বারকে এতদিনে অবশ্যই গ্রেফতার করতে পারত। তারা এ দুইজনকে গ্রেপ্তার না করে বরং ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা রহস্যজনক। তাদের এই কাজ প্রমাণ করে তাদের সাথে হয়তোবা খুনিদের যোগসাজোস রয়েছে। এছাড়াও চটকদারি পুরস্কারের ঘোষণা করে অন্যান্য আসামিদেরকে আড়াল করার অপচেষ্টা করছে প্রশাসন। যে ঘটনার অসংখ্য ভিডিও সামাজিক মাধ্যম গুলোতে স্পষ্ট ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরপরেও কেন খুনিদেরকে এতদিন পর্যন্ত গ্রেফতার করা গেল না এটা জনমনে ব্যাপকভাবে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
প্রধান বক্তা বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে মালিক যেমন তার অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা পাবে। শ্রমিক ও তার পূর্ণ অধিকার লাভ করবে। শ্রমিকদের রক্ত চুষে, ঠকিয়ে, বেতন-ভাতা না দিয়ে কেউ বেগম পাড়ায় বাড়ি করতে পারবে না।