সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ করতে হবে।নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম কমাও, দুর্নীতিবাজ-লুটপাটকারী-টাকা পাচারকারীদের শাস্তি দাও
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল কর।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় নিরপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যাবস্থা চালু, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সিন্ডিকেট ভাঙ্গা, দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ, অর্থপাচারকারী-ঋণখেলাপি-দুর্নীতিবাজদের শাস্তি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আজ বিকাল ৪:৩০ টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট সোনারগাঁ উপজেলা শাখার উদ্যোগে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ সোনারগাঁ উপজেলা শাখার আহŸায়ক বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্ত্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, প্রগতিশীল আইনজীবী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মোল্লা, কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি জিয়া হায়দার ডিপটি, সিপিবি শহর কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ, সিপিবি জেলা কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন, বাসদ সোনারগাঁ উপজেলা কমিটির সদস্য আনোয়ার খান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে জনগণের জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। মানুষ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন থেকে মুক্তি চায়। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে এবং ২০১৮ সালে গভীর রাতে ভোট ডাকাতি করে সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের বিরুদ্ধে অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। সরকার যে সকল নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিচ্ছে তা ব্যবসায়ীরা তা মানছে না। তারা ইচ্ছামতো দাম ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করছে।
আবার সরকার ঘোষিত পণ্য মূল্যের সাথে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের বিস্তর ফারাক। এর কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা জনগণ খুঁজে পাচ্ছে না। জনগণের আন্দোলন ও দেশি-বিদেশী নানামুখী চাপে পড়ে সরকার দমনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিল না করে পরিবর্তনের মাধ্যমে কৌশলে একই ধরনের নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। যা বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের পরিপন্থি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সংসদে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ উত্থাপন করেছে। পাশ হলে শ্রমজীবী মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ধর্মঘট করার অধিকারও কেড়ে নেয়া হবে। গুম, খুন, হামলা, মামলা নির্যাতন অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আবারও ক্ষমতায় আসার ইতিমধ্যে আরপিও সংশোধন করে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে বর্তমান আওয়ামী সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকা, ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বর্তমান কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের প্রতি আহŸান জানান।