নারায়ণগঞ্জের মেট্রোহল ট্রাফিক পুলিশের অফিসের সামনে কোনোভাবেই থামছে না মাদকের জমজমাট ব্যবসা। সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা থেকে শুরু করে গাঁজা-ফেনসিডিল। হাত বাড়ালেই এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য পাচ্ছে তরুণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বেকার যুবকরা। নতুন করে এক শ্রেণির উঠতি বয়সের যুবকরা ছদ্মবেশে শহরের প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে মাদকের বিস্তৃতি।
সরেজমিনে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের অফিসের সামনে চায়ের দুকানগুলোর অন্তরালে দেখা যায় মাদক ব্যবসায়ীদের ইয়াবা,হেরোইন ও গাজা বিক্রি করতে।রাত হলেই এখানে চায়ের দুকানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে লেগুনা রেখে স্ট্যান্ড বানিয়ে চলে জমজমাট মাদক ব্যবসা।
এ ছাড়াও মাদক বহনে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে ব্যবসায়ীরা। অ্যাম্বুলেন্সে এমনকি লাশের কফিনও ব্যবহার করছে তারা। এ ছাড়া সবজির ট্রাক, মাছের ঝুড়ি, চিঠির খাম, জুতার তলায়, স্কুল ব্যাগে করেও মাদক পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মাদকের স্পটে। সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিস। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে স্বল্প সময়ের মধ্যেই মোবাইলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেন করে থাকে ফলে তাদের কাছে কুরিয়ার সার্ভিসই হচ্ছে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম।
স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, মাদকের ভয়াবহতা আরো বেড়েছে। উঠতি বয়সের ছেলেরাই আসক্ত হচ্ছে বেশি। মাদক রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিকভাবেও আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং খানপুর হাসপাতালে যাওয়া আসা রোগীর স্বজনদের দাবী গভীর রাত হলেই এখান দিয়ে চলাচল করা অনিরাপদ হয়ে যায়।মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য এইখানে কিছু যুবক রাত হলেই ছিনতাই করার জন্য নেমে পড়েন। এতে সাধারন জনগন রাত হলেই এই জায়গা দিয়ে চলাচল করতে অসুবিধা হয়। তাদের একটাই প্রশ্ন ট্রাফিক পুলিশের মত একটা সরকারি অফিসের সামনে কিভাবে চলছে এই মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা? পুলিশ, র্যাব,ডিবি যাতে অতিদ্রুত এই সকল মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের উপর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।