সকাল নারায়নগঞ্জ
শহরজুড়ে যানজট। বৈধ, অবৈধ রিকশার রাজত্ব চলছে পুরো শহরে। এছাড়া শহরে প্রবেশ নিষেধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা শহরময় তাণ্ডব চালাচ্ছে। কিন্তু, এসব নিয়ে প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কোন মাথা ব্যথা নেই। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ পথচারীরা। শহরকে যানজট মুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
মিশুক চালকদের কাছ থেকে জানা যায়,রেকারের হাসান,শহিদুল,আবুল বাশার,শফিক মাসোয়ারা বা কম টাকার বিনিময়ে রশিদ ছাড়া তাদের শহরে চলতে দিচ্ছে।
আর তাতে রাজি না হলেই তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত রেকার বিল।
মিশুক চালকরা আরো জানান ট্রাফিক হাসান ট্রাফিক নিয়মের বাইরে শহরের অলিগলি থেকে মিশুক ধরে নিয়ে রেকার বিলের জরিমানা করছে।
সূত্রমতে, দিনের বেলায় চাষাঢ়া থেকে মন্ডলপাড়া আসতে সময় লাগে ৩০ মিনিট কিংবা তারও বেশী। যানজট না থাকলে ১০ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ থাকলেও যানজটের কারণে অনেক সময় অতিবাহিত করতে হয় রাস্তায়।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, পুরো শহরজুড়ে বৈধ রিকশার পাশাপাশি অবৈধ রিকশার দাপট। শহরে চলাচল নিষিদ্ধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা আর মিশুক পুরো সড়ক দখল করে নিয়েছে। এসব অবৈধ যান বাহনের কারণে শহরে যানজটের সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সড়কের যানজট নিরসনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তারা পুরোপুরি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। অবৈধ ইজিবাইক, মিশুক আর ব্যাটারি চালিত রিকশার সঙ্গে পেরে উঠতে হিমসিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
ভুক্তভোগীদের মতে, নগরীকে যানজট মুক্ত রাখতে হলে শহরে ইজিবাইক, মিশুক ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় যানজটের কারণে এ শহর অচল হয়ে যাবে। সরেজমিন চাষাঢ়া মোড়ে দেখা গেছে ইজিবাইক,মিশুক আর ব্যাটারি রিকশা জটলা। জিয়াহল কিংবা খাজা সুপার মার্কেটের সামনে এসব অবৈধ যান দাঁড় করে রেখে যাত্রী ওঠা নামা করছে। যাত্রীদের জন্য অপেক্ষ তরতে দেখা গেছে অনেককে। শুরু এখানেই নয়, ২নং রেলগেট, কালিরবাজার মোড়, চারাগোপ, ১নং রেলগেট এলাকাগুলো এখন অঘোষিত অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
শহরে বেশিরভাগ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটো ও মিশুকের জন্য।
ট্রাফিক কর্মের ব্যার্থতার কারনে যানজট মুক্ত হচ্ছে না শহরে।
বিভাগের কিছু অসাধু ব্যাক্তির
সচেতন মহলের মতে, অবৈধ এসব যান চলাচলের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগ যদি এখনি কঠোর না হয়, তা হলে এ শহরে চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে নগরবাসী।