নারায়ণগঞ্জ জেলার সব সড়ক এখন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মিশুকের দখলে। অনুমোদন ও লাইসেন্স ছাড়াই শহরের প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলিগলিতে চলছে এসব যানবাহন। দিনের পর দিন এসব যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে নিত্য যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জ শহরে রয়েছে এসব অবৈধ যানবাহন তৈরির প্রায় পাঁচশতাধিক কারখানা। সদর উপজেলায় দুই সহস্রাধিক অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মিশুক চলছে। এসব পরিবহনের বেপরোয়া গতির কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব যানবাহনের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুক তৈরি কারখানার একজন শ্রমিক বলেন, আমরা প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫টি ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান, মিশুক, নসিমন, করিমন তৈরি করি। একটি ইঞ্জিনভ্যান তৈরি করলে খরচ বাদে মালিকের লাভ হয় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
এদিকে, ব্যাটারি চালিত এসব যানবাহনের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য গ্যারেজ তৈরি করে অবৈধভাবে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায়,ট্রাফিক বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা শহরের বিভিন্ন অলিগলি থেকে মিশুক ও অটোরিক্সা ধরে নিয়ে এসে জরিমানা করে ছেড়ে দেয় কোন রশিদ ছাড়াই।
ট্রাফিক পুলিশের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত কিছু কমিউনিটি পুলিশ যারা নাকি ট্রাফিক পুলিশ থেকে নিজেদেরকেই বেশি ক্ষমতাধর মনে করে।
এই সকল কমিউনিটি পুলিশ মিশুক চালকদের ট্রাফিক পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিদিন মিশুক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন।এমনি কি এই সকল কমিউনিটি পুলিশ মিশুক চালকদের সাথে ট্রাফিক পুলিশের ১৫০০ টাকার একটা মাসোয়ারা করিয়ে দেন।যাতে অই মিশুক চালক পুরো মাস জুড়ে শহরের যেখানে ইচ্ছা সেখানে বীরদর্পে ঘুরতে পারেন।
মিশুক চালকদের ভাষ্যমতে ট্রাফিক পুলিশ হাসান তাদের মিশুক গাড়ি শহরের জামতলা মোড়,কলেজ রোডের মোড়,ইসদাইর,গলাচিপার মোড় ও উত্তর চাষাঢ়ার ভিতরে থেকে মিশুক গাড়ি জোর করে রেকারে নিয়ে আসে এবং জরিমানা করে অথচ উক্ত স্থানগুলো থেকে কোন গাড়ি ধরার অনুমতি নেই তার।
তারা আরো জানান,জরিমানা দেয়ার পরো তাদের কে যেই রশিদ দেয়ার কথা সেটাও দিচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ এবং তারা রশিদ চাইলে তাদের এক প্রকার হুমকিও প্রদান করে।