নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং গেইট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আলিতে গলিতেই ৩-৪ জন যুবক ইয়াবা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিক্রির জন্য। একটু ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ৪-৫ জন করে ৭-৮ টি দলে বিভক্ত হয়ে সেবন করছে ইয়াবা। ওখানে নানা শ্রেণীর লোকজন আসছেন আর ইয়াবা ক্রয় করে চলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ওখানেই সেবন করছেন। এই দৃশ্য চলে সকাল থেকে রাত অবধি।
২ নং রেল গেইট এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছে, ইমরান,দিপু,রুবেল এর ভাই নয়ন,অসত,ফর্মা উজ্জ্বল,শাহিন,ইমান,পুতুলি,দুলালি,বিল্লাল,তাছলি ও দুলালের মেয়ে অপর্না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদকসেবীর বাবা বলেন, তাঁর ছেলে নেশাগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে পরিবারে সব সুখ নষ্ট হয়ে গেছে। শত চেষ্টা করেও তাকে নেশার জগৎ থেকে ফেরানো যায়নি। পুলিশ ছিঁচকে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করলে মাদক নির্মূল কখনো সম্ভাবনা নয়। যাদের আশ্রয়ে এসব মাদক বিক্রি হয়, তাদের গ্রেপ্তার করলে মাদক নির্মূল সম্ভব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, যেসব মাদক ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা আওতায় আনা হয় তারা কদিন পরেই জেল থেকে ছাড়া পায় আর জরিমানাও করা হয় কম। শাস্তি শেষে ওই মাদক ব্যবসায়ী পুনরায় অপকর্ম চালায়। এটি যেন গ্রেফতার আর মুক্ত হওয়ার খেলা। মাদক ব্যবসা নির্মূল করতে চাইলে অবশ্যই এই খেলা বন্ধ করে স্থায়ীভাবে নিমূর্ল করতে হবে মাদক ব্যবসা কেন্দ্রগুলো। গ্রেফতার করতে হবে বিক্রেতাদের।