সকাল নারায়ণগঞ্জ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে পদত্যাগ করবো। বিএনপি বা কোনো দলের সে আশঙ্কা যেন না থাকে।
আজ রোববার (১৭ জুলাই) সকালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর সাথে নির্বাচনী সংলাপের শুরুতে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিইসি বলেন, কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চায়। ২০১৪ বা ১৮ সালের নির্বাচনের দায় বর্তমান ইসির নয়। বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা প্রতিহত করা ইসির পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজনে তলোয়ার নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
সিইসি আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে অনিয়ম কমতে পারে। নির্বাচনে অংশ না নিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হতে পারে। একটি দল ৩০০ আসনে এককভাবে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে সেটা গণতন্ত্র না। এর ফলে স্বৈরতন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এ সময় ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে আসন বিন্যাসের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান তিনি। আরও বলেন, নির্বাচনে রাজনৈতিক ঐক্য দরকার। ঐক্য গঠনে যেকোনো অরাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অবদান রাখতে পারে।
আলোচনায় এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, বিগত দুই নির্বাচন সবাইকে আশাহত করেছে। নির্বাচনে নির্বাহী বিভাগ থেকে কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ না করাসহ দলের পক্ষে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। প্রথম দিনে প্রথম দল হিসেবে এনডিএম এর সাথে সংলাপ শেষে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ সাথে সংলাপে বসেছে ইসি।
আজ মোট চারটি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসার কথা রয়েছে ইসির। দলগুলো হলো, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)।
আজ সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয়েছে এ সংলাপ। প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্য সংলাপে দুই ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া বাকি দলগুলোর জন্য এক ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করেছে ইসি