সকাল নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলা টানবাজার এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। মাদক করাল গ্রাসে আক্রান্ত হয়ে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে তরুন, ছাত্র ও যুব সমাজ সমাজ। আর এ মাদককে কেন্দ্র করে বাড়ছে ইভটিজিং, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড। পাশাপাশি পারিবারিক কলহ বাড়ছে। এসব মাদকাসক্তরা পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে।
এদিকে মাঝে মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযান চালালেও নিয়মিত না হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে হাট বসিয়ে মাদক বেচাকেনা করছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও মাদক ব্যবসায়ীরা তোয়াক্কা না করে তাদের এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে।
একটি সূত্র জানায়, আইন শৃংখলা বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার আগেই র্যাব পুলিশ ও ডিবির সোর্সরাই মাদক ব্যবসায়ীদের অভিযানে খরর পৌঁছে দেয়। ফলে অভিযানের সময় গা ঢাকা দেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। আর ওই সব সোর্সরাই মাদকের সাথে সম্পৃক্ত।
নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকাবাসী জানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে গিয়ে নানাভাবে হয়রানি হতে হয়। সম্মিলিতভাবে এর প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হলেও নানা কারনে তা সম্ভব হয়ে উঠছেনা। তাদের দাবি নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে চিহ্নিত মাদক ববসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে এলাকার তরুন, ছাত্র ও যুব সমাজকে বাচাঁতে হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক যুগেরও বেশী সময় ধরে মরণ নেশা ইয়াবা-ফেন্সিডিল‘সহ নানা প্রকার মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে টানবাজারের ডজন মামলার আসামী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নুর ইসলাম প্রকাশ (শিবা) মাদক ব্যবসা করে লাখপতি হয়েছেন।
ফেন্সিডিল,ইয়াবা,মদ,গাজা,হেরোইন সহ কয়েকবার নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। শুধু নুরর ইসলাম প্রকাশ শিবা একাই মাদকের সাথে জড়িত নয়, তার পরিবার পরিজন সবাই এই মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।
টানবাজার মেথরপট্টি,টানবাজার ঘাটের মাদক নিয়ন্ত্রন করছে মাদক সম্রাট মাদক ব্যবসায়ী নুর ইসলাম প্রকাশ শিবা। এলাকাবাসী জানায় শিবার ১০/১২জনের একটি বাহিনী রয়েছে। শিবার বাহিনির ২জন ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে চলে।
বর্তমানে তাদের একটি সিন্ডিকেট টানবাজার এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সবাই থানা পুলিশ, ডিবি ও র্যাব-১১ গ্রেফতার করেছিলো। বর্তমানে জামিনে এসে পুনরায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন কৌশলে উঠতি বয়সী গরিব যুবকদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের নিয়ে গড়ে
তুলেছে একটি মাদক সিন্ডিকেট।
শিবার ১৫/১৬ জনের সদস্য রয়েছে। তারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর প্রতিটি মহল্লায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিনব কৌশলে সেবনকারীদের কাছে পাইকারী ও খুচরা ইয়াবা পৌঁছে দিচ্ছে।
এতে স্থানীয়রা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রশাসনের উদ্ধর্তন মহলের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এদের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:আনিসুর রহমান মোল্লা জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের পুলিশ সুপার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে আমাদেরকে সে মোতাবেক কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেভাবেই প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করছি।
যদি কেউ জামিনে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা চালু করে তাহলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।