সকাল নারায়ণগঞ্জ
শহরের অন্যতম প্রান কেন্দ্র চাষাড়া শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে তার আশেপাশে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিকের উপর ফাস্টফুড,চা ও কাপড়ের দোকান এবং অবৈধ সিএনজি,ইজিবাইক স্ট্যান্ড। এতে মানুষের চলাচল ও যানজটের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বালুরমাঠ এলাকায় অবস্থিত হার্ট ফাউন্ডেশনের হার্টের রোগীগুলোর বেশিরভাগ এম্বুলেন্স শহীদ মিনারের পাশে বেলী টাওয়ারের সামনে দিয়ে রোগি নেওয়ার সময় জামে আটকে থাকে এই দুকানগুলোর জন্য।
এতে মুমূর্ষু রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়।
শহীদ মিনারের পাশে ল্যাম্প পোস্টের নিচে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করা হয় যেকোন সময় একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শহীদ মিনারের সামনে হকার উচ্ছেদ হলেও শহীদ মিনারের পাশে থাকা টঙ দুকানগুলো কিছুদিন পর পর উচ্ছেদ হলেও আবার সেখানে অবস্থান করছে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের যখনই প্রবেশ করুন না কেন যানজট থাকবেই। যানজট নারায়ণগঞ্জবাসীদের জন্য নিত্যদিনের সঙ্গী। যা তাদের প্রত্যাহিক জীবন নাকাল করে রেখেছে। সম্প্রতি অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থা ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এ সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়া যানজটের নেপথ্যে রয়েছে অবৈধ পার্কিং, হকার, অবৈধ যান চলাচলসহ একাধিক কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব সমস্যা সমাধান ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় না আসলে নারায়ণগঞ্জ শহরের নিত্য এই ভোগান্তির সমাধান কোনোদিনই হবে না।
শহরের যানজটের আরেকটি কারণ অস্থায়ী হকারদের ফুটপাত ও সড়ক দখল। সারা বছরই শহরের প্রধান প্রধান সড়কের ফুটপাত, এমনকি মূল সড়কের একাংশ হকারদের দখলে থাকে। যার ফলে, যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ফুটপাত দখল থাকার কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে সড়কে চলাচল করে যা যানচলাচলে আরও বাধা সৃষ্টি করে।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার তদন্ত অফিসার সাইদুজ্জামান সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান, উনি সকাল সন্ধ্যা অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিবে।
কিন্তু আজ নিয়ে দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পরো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
স্থানীয় এবং ভুক্তভোগীদের এসপির নিকট একটাই দাবী যাতে অতিদ্রুত এই হকারদের প্রতি ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।