সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৫ জুন) নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ধর্ষণ মামলায় কাউন্সিলর খোরশেদ আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কাউন্সিলর খোরশেদ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি।
এ সময় কাউন্সিলরের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, আফসানা আফরোজ বিভা, শাওন অঙ্কন, মনিরুজ্জামান মনির, অসিত বরণ বিশ্বাস, আব্দুল করিম বাবু, কামরুল হাসান মুন্না, মো. শাহীন মিয়া, সুলতান আহম্মেদ ভুইয়া ও আনোয়ার ইসলাম প্রমুখ।
জানা যায়, বিএনপি নেতা খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সাঈদা আক্তার গত বছেরর ২৫ আগস্ট খোরশেদের বিাংদ্ধে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেন।
২রা সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গত ৮ নেভম্বর খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রদিবেদন দাখিলের পর খোরশেদকে গ্রেপ্তার করতে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে হাই কোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনের দুইদিন আগে গত ১৪ জানুয়ারী জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও আর আত্মসমর্পণ করেনি খোরশেদ।
এর আগে গত বছরের ১৬ই মে রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন সাঈদা আক্তার। ওই মামলায় পুলিশ খোরশেদ ও রেহানা আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ (চার্জশিট) পত্র দিয়েছে। এই মামলায় আদালত চার্জ গঠন করেছে।
এদিকে, কাউন্সিলর খোরশেদ জানান, এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে নিয়ে রাজপথের আন্দোলন থেকে আমাকে দূরে রাখা যাবেনা। দ্রুতই আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো। আবার দেখা হবে রাজপথে।