ঘরে আদর যত্নে সারা বছর লালন-পালন করা গরু ক্রেতার সঙ্গে দরদাম ঠিক হয়ে যাওয়ার পর গরুর মালিকের চোখেমুখে সেই এক করুণ ভাব চলে আসতো, প্রিয় গরুটিকে বিদায় দিতে হবে বলে। বিদায়বেলায় কত আদরে গরুর পিঠে হাত বুলিয়ে দিতো! কেউ কেউ মুখটা একটু আড়াল করে, কেউ নাকে-মুখে গামছা চেপে কান্না করতো। এতো বছরের আদরের গরুটাকে বিদায় দিতে কার না কষ্ট লাগে! এ কান্না একসঙ্গে বিদায় ও ঈদের আনন্দেরও।
গরু বেচার টাকায় বিক্রেতার মনে আনন্দ আনে আর গরুকে বিদায় দিয়ে মনে কিছুটা বিষণ্ণতা ছুঁয়ে যায়। আনন্দ আর বিষণ্ণতায় মিশ্র অনুভূতি নিয়ে থাকতো পুরো গৃহস্থ সদস্যরা। আর হাট থেকে দেখেশুনে মনের মতো গরু কিনে ঘরে ফিরে কোরবানি দাতারা।