সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
বন্দর খেয়াঘাট হতে প্রতিদিন ঠিক কত মানুষ পার হয় , এ অনুমান বন্দরের প্রায় সব মানুষই করতে পারেন কিন্তু এই লকডাউনে কতজন অহেতুক ঐ পাড়ে যাচ্ছেন তার অনুমান কি করতে পারবেন ?
সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ মেনে চলা তো প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য , আপনাদের বিবেক কি বলে ?
দেশে করোনার ভয়াবহ অবস্থা কমানোর জন্য কি আপনার একটুও দায়িত্ব নেই ?
কেন ঐ পাড়ে যাচ্ছেন প্রশ্ন করলে উত্তর আসে মুরগী ব্যবসায়ী (প্রায় ২০০জন এই কথা বলেছে) ওষুধ আনতে যাচ্ছি , বাজার করতে যাচ্ছি , মাছ কিনতে যাচ্ছি , মেয়ের বাড়ি যাচ্ছি, টাকা পাই সেটা আনতে যাচ্ছি , বোরকা, সুতা, পুঁথি পর্যন্ত তাদের এই লকডাউনে কিনতে হবে ! কেউ বোনের বাড়ি যাচ্ছে নামাজ পড়তে, কেউ ঐপাড়ে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে,কেউ কাঁঠাল কিনতে যাচ্ছে ,আর সবাই যাচ্ছে ডাক্তার দেখাতে । একজন ডাক্তারে এই খামটা দেখিয়েছিল , বললাম দেখি আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ! খুলে দেখি পুরো ফাঁকা !
কয়েকজন তো আমাদের উপর চড়াও হচ্ছেন , আমরা নাকি বেশিবেশি করছি !
বিশ্বাস করেন এই বেশিবেশি করার জন্য আমরা কেউ বাড়তি কোন সুবিধা পাইনা । বরং চিন্তা বাড়ে , ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ডিউটি করে করোনা বয়ে নিয়ে যাচ্ছি না তো নিজেদের পরিবারের কাছে , ঘরে তো আমাদেরও সন্তান , বৃদ্ধ মা বাবা আছে !
জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, ট্যাগ অফিসার, ভল্যান্টিয়ার সবাই আপনাদের সচেতন করার জন্য মাঠে আছি । আপনার একটু কষ্ট করে বাসায় থাকুন ।
এত বৃষ্টির মধ্যেও শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে ম্যাজিস্ট্রেট , পুলিশ , আনসার ডিউটি করছে । উনাদের সহযোগিতা করুন।
শুক্রবার (২ জুলাই) সারাদিন বন্দর উপজেলায় ১৪টি মামলায় ৩৮ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয় । অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার ভূমি।