সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
স্ক্রিনে গ্রাফটা লক্ষ্য করুন। গত ১৪ই এপ্রিল থেকে দেশে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধি-নিষেধ চলছে।
আজ ১৩ দিনে এসে দেখুন সংক্রমণ কতখানি কমেছে! যারা এই বিধি-নিষেধ মেনেছেন, তাদের কারনেই এই বিপর্যয়কে মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
অনেকেই চলমান বিধি নিষেধ, বাধ্যবাধকতা, কঠোরতা, সীমিকরণ নিয়ে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে যা-ই বলুক না কেন,সংক্রমণ বেড়ে গেলে তা কমানোর একমাত্র কার্যকরী ও পরীক্ষিত উপায় হলো মানুষকে ঘরে রাখা।
ঘরের বাইরের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা যদি পরিপূর্ণভাবে মানুষের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতো তাহলে, গ্রাফটা আরো স্বস্তিদায়ক হতো, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
করোনার ভয়াল থাবায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বিপর্যস্ত। ইন্টারনেটের কল্যাণে আমরা সেইসব দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি। ইতিমধ্যেই ভারতের করোনার ডাবল মিউটেশন স্টেইন ধরা পড়েছে, যা ৩০০ গুন বেশি সংক্রামক বলে দাবি করা হচ্ছে।
ঘনবসতির দেশ আমাদের বাংলাদেশে করোনার সেই ধরন প্রবেশ করলে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়।
দয়া করে বাকি দিনগুলোতে বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন।সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করুন। কেবলমাত্র তাহলেই অতিমারী করোনার এই প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আপনার একটুখানি সাবধানতা ও সচেতনতা-ই পারে আপনাকে, আপনার পরিবারকে, এইদেশকে সুরক্ষিত রাখতে। নিজে বাঁচুন, এই দেশটাকে বাঁচান। প্লিজ!