সকাল নারায়ণগঞ্জ:

স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)

শনিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭ টায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদরের হালদার পাড়া থেকে হানিফ নামে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।

তিনি জানান তার ভগ্নিপতি ঠিকাদার মোবারক হোসেন (৪৫) এবং ভগ্নিপতির ব্যবসায়ী অংশীদার ভারতীয় নাগরিক মিন্টু দাস (৪৫) আশুগঞ্জ-ত্রিপুরা চারলেন সড়কের কাজ করছিলেন।

তারা শুক্রবার (১৯ মার্চ) আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া এসেছিলেন ব্যবসায়িক কাজে। সেদিন রাতে তারা ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদরের কলেজপাড়া এলাকায় যান। সেখানে তারা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির চালককে অবস্থান করতে বলে পায়ে হেটে সামনে এগিয়ে যান।

কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত তারা ফিরে না এলে চালক তাদের ফোন করে। কিন্তু সে তাদের উভয়ের ফোন বন্ধ পায়। অতঃপর রাত দেড়টায় চালকের ফোনে ঠিকাদার মোবারক ফোন করে জানায় তারা একটি কাজে আটকে আছে, সে যেন সেখানে অবস্থান করে।

এরপর শনিবার (২০ মার্চ) ভোর রাতে ভারতীয় নাগরিক মিন্টু দাসের ফোন হতে আশুগঞ্জে তাদের আরেক ব্যবসায়ী অংশীদারের কাছে একটি এসএমএস যায়। মেসেজে মিন্টু দাস জানান, তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের ছাড়িয়ে আনতে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

নইলে তাদের মেরে ফেলা হবে। মেসেজে ১০ লক্ষ টাকা রেডি করে রাখার জন্য বলা হয়। তখন সেই ব্যবসায়ী অংশীদার ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদরে অবস্থানরত কলারকে বিষয়টি জানান। ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে কলার দ্রুত ৯৯৯ এ কল করে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করার জন্য পুলিশের সাহায্য চান।

৯৯৯ তাৎক্ষনিকভাবে কলারের সাথে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। একই সাথে বিষয়টি ব্রাহ্মনবাড়িয়া পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। ব্রাহ্মনবাড়িয়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা পুলিশের একাধিক টীম অপহৃতদের উদ্ধারে মাঠে নামে।

অবশেষে তথ্য নানাবিধ পুলিশি কৌশল অবলম্বন করে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে রোববার (২১ মার্চ) ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় অপহৃত দুজন কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতাহা ভুইয়া ওরফে ইয়াম (২২) ও মতিন ওরফে রবিন (২০) নামে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদরের বাসিন্দা দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।