সকাল নারায়ণগঞ্জ:
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
রাজধানীতে ভুয়া সাংবাদিকের ছড়াছড়ি গাড়িতে প্রেস লিখে করছে চাঁদাবাজি। তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা৷
পুলিশের উদ্বর্তন কর্মকর্তা জানিয়েছে, ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান নেয়া হবে৷ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভুয়া সাংবাদিকদের পুলিশ মাঝে মধ্যেই গ্রেফতার করে৷ তাদের কাছ থেকে টেলিভিশন চ্যানেল এবং পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়৷
এছাড়া, তাদের মোটরবাইকেও লাগানো থাকে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার এরা এমনভাবে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার ক্যামেরায় লাগিয়ে নেয় এটা কি টেলিভিশন চ্যানেলের বুঝা বড় দায় এখনত শত শত ইউটিউব টেলিভিশন চ্যানেলের বের হয়েছে তা কোনটা আসল আর কোনটা নকল বুঝা বড় দায়।
এইসব ভুয়া সাংবাদিকদের ঠাটবাট এমন যে তাদের সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারেন না৷ এমনকি পেশাদার সাংবাদিকরাও তাদের দেখে মাঝেমধ্যে বিভ্রান্ত হন৷ তারা অনেকেই দামি গাড়িতে চলা-ফেরা করে৷ আর ক্যামেরায় জাল স্টিকার লাগিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে৷
ঢাকার কয়েকজন পেশাদার সাংবাদিক জানান, শুধু পুলিশকে উদ্যোগ নিলেই হবে না, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিক ইউনিয়নকে ভুয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নয়তো সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে আর পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন৷
এদের মধ্যে ট্রাক ড্র্ইাভার, সিকিউরিটি গার্ড ব্যবসায়ী, কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ নরসুন্দর, দারোয়ান, পান বিক্রেতাও রয়েছে। পেশাদার সাংবাদিকরা মনে করেন, ঐক্যবদ্ধ ইউনিয়ন থাকলে এটি সম্ভব ছিল না।
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণমাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা চলছে।
তারা পত্রিকায় খবর ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। অনেকে থানায় দালাল হিসেবে আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে মধ্যস্থতা করে থাকে। এসকল ভূয়া সাংবাদিকদের আখড়া এখন যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ও উত্তরা এলাকায়। সস্পত্তি দেখাযায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় কোন পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে সেখানে অবস্থিত কথিত ভূয়া সাংবাদিকরা সেই ব্যাক্তির কাছে গিয়ে চাঁদাদাবি করে, এমনকি প্রতিবাদ ছাপিয়ে দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।
আরো অভিযোগ রয়েছে যাদ্রবাড়ী এলাকায় কতিপয় হকার, পুলিশের র্সোস নিজেদের সংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপর্কম করে বেড়াচ্ছে আর এদের সহায়তা করে থাকে কতিপয় অসৎ পুলিশ সদস্য আর এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা বেকায় পরছে আর পুলিশ সদস্যরা হারাচ্ছে তাদের বাহিনীর সম্মান।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ডিসি জানান, অনেকে সাংবাদিক না হয়েও যানবাহনে প্রেস স্টিকার ব্যবহার করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধে জড়াচ্ছেন। রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ীতে দেহব্যবসার ফ্ল্যাট, ফুটপাত, গাড়ী, ফলের ও মাছের আড়ত পলিথিনের আড়ত পর্যন্ত চাঁদাবাজি করছে সাংবাদিক নামধারী এই চক্র। নানা অপকর্ম করতে এসব ভুয়া সাংবাদিক নানা নামে শত শত সংগঠনও গড়ে তুলেছে।
ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন সময় মাদকসহ ভুয়া সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে। এতে মূল ধারার সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ হচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারকের নানা অপতৎপরতায় থানা পুলিশও অতিষ্ঠ। থানায় অপরাধীদের হয়ে নানা তদবির করাই তাদের কাজ।
এ ছাড়া এরা গলায় সাংবাদিক পরিচয়পত্র আর গাড়িতে দপ্রেসদ লেখা স্টিকার লাগিয়ে মাদক পাচার এমনকি রাজনৈতিক সহিংসতার সময় ককটেল ও বোমাও বহন করছে। সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারক চক্র শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকার আইডি কার্ড বহনই নয়, বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মূল ধারার বড় পত্রিকার সাংবাদিকও পরিচয় দেয়। তা ছাড়া ভূইফোঁড় পত্রিকা অফিসগুলো সাংবাদিক পরিচয়পত্রদও বিক্রি করে থাকে।
এসব পরিচয়পত্র পকেটে রেখে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলের সামনে সাংবাদিকদ বা প্রেসদ লেখা স্টিকার লাগিয়ে ঘোরে একশ্রেণীর লোকজন। এদের কাজহলো অবৈধ্য কারথানা থেকে শুরু করে ফুটপাত এ ২০ থেকে ৫০ টাকার চাদাবাজী করা আর রাত হলে থানার গেইট বিভিন্ন মামলার তদবির করে যা কামানো যায় বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গেলে দেখা যায় শত শত নামধারী সাংবাদিক দিনের বেলায় সোর্স আর রাতের বেলা সাংবাদিক। অভিযোগ রয়েছে এদের কারনে পুলিশ সদস্যরাও কাজ কর্ম করতে সমস্যার সম্মুখিন হন।
কথিত সাংবাদিকতার পাশাপাশি দেশ সহ বিশ্ব মানবাধিকার অপরাধ তথ্য সংগ্রহ সংস্থা নাম দিয়ে সায়দাবাদ এলাকায় রফিক রায়হান ্ওরফে কালা রফিক বাটপার রফিক কুমিল্লার টাকলা রফিক প্রতারনা করছে অভিযোগ রয়েছে মোহাম্মদ বাগ মেরাজ নগর এলাকায় চাকুরি দেয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ বিষয়ে তার নামে কয়েকটি মামল্ওা রয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা,যাত্রাবাড়ীতে এসব ভুয়া সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেছে। কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেয়া এসব ব্যক্তির হাতে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
তারা শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকা বা অনলাইনের আইডি কার্ড বহনই করেন না বরং মূল ধারার জাতীয় দৈনিক কিংবা টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও মানুষকে জিম্মি করছেন। বেশ কিছু ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকা এবং অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।ভূয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে খোদ পুলিশেরও অনেকটা ভুমিকা রয়েছে।
কারণ, পুলিশের সঙ্গেই ওইসব ভূয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বেশি সখ্যতা। এরা প্রায়ই থানার ভিতরে দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে। ‘দালাল’ হিসেবে ঘুষ বাণিজ্যে সরাসরি সহায়তা করে, পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবেও তারা বিশ্বস্থ!