সকাল নারায়ানগঞ্জঃ নারায়নগঞ্জ জেলার একটি ঐতিয্যবাহী পুরাতন স্কুল হচ্ছে আই ই টি উচ্চ বিদ্যালয়।১৯২৬ সালের স্কুল এটি কিন্তু সরকারী স্কুল হয়েও এখনো উন্নয়নের ছোয়া পড়েনি। একটি স্কুলে যদি শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ না থাকে তাহলে সেখানে পড়ানো সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার(৭নভেম্বর)এক সাক্ষাৎকারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাকসুদা আক্তার এই কথা বলেন।
প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে বলেন,নারায়নগঞ্জ জেলার পড়া লেখার মান অনু্যায়ী একটি অন্যতম স্কুল এটি এবং এই স্কুলে পড়ার মান খুব ভালো। এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ক্লাব করা হয়েছে যাতে তাদের পড়া লেখার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে।আর এই স্কুলে ছেলেরা আন্তঃস্কুল পর্যায় বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এ বছর এই স্কুল থেকে ২৯৯জন জি.এস.সি পরীক্ষা দিচ্ছে এবং পরীক্ষার্থীদের রেজিঃ সম্পূর্ণ স্কুল বহন করেছে ২৫০টাকা করে।২০২০ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী মধ্যে নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়েছে মোট ২৯৪ জন এর মধ্যে প্রভাতী ও দিবা মিলে ২৮২ জন কতৃকার্য হয়েছে এবং ১১জন অকতৃকার্য হয়েছে।সরকারী নিয়ম মোতাবেক যে রেজিঃ ফরমের ফি রয়েছে সেই অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে চাওয়া হয়েছে এবং এখানে এক টাকা বেশি নেওয়া আমাদের এখতিয়ারে নেই।
তিনি স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে বলেন,এই স্কুলে ১৬২৪জন্য দুই শিফটে শিক্ষার্থী কিন্তু তাদের জন্য পযাপ্ত শ্রেনী কক্ষ নেই। কোন বড় অনুষ্ঠান করতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমান বাজেটের দরকার সেই অনু্যায়ী আমাদের বাজেট নাই এবং এত গুলো ছাত্র ও অভিভাবকদের বসার মত হল রুম নেই আমাদের। আপনারা দেখবেন সরকারী ও বেসরকারি স্কুল গুলোতে আইসিটি ল্যাব আছে এবং প্রতিটি ল্যাবে কম পক্ষে ৪০টি করে কম্পিউটার থাকে কিন্তু আমাদের ল্যাবে মাত্র ৮টি কম্পিউটার আছে। ছাত্রদের ব্যবহারিক পাঠবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না তার জন্য ব্যবহারিক ল্যাবের প্রয়োজন কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত ল্যাব নেই। আমাদের ৩টা ল্যাব রুমের দরকার। আমাদের স্কুলের মাল্টিমিডিয়াও মানসম্মত নয় যেখানে ৫০০ বাচ্চার বসানোর জায়গা নেই।এখানে বিজ্ঞান,ব্যবসা ও মানবিক শাখা থাকা সত্ত্বেও দুঃখের বিষয় এখানে মানবিক শাখায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না। আমি মানবিক শাখায় ছাত্রদের ভর্তি হবার জন্য আগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।সর্বশেষ একটি বিষয় কি জানেন আমি এই বছরের এপ্রিলে এই স্কুলে এসে দায়িত্ব নিয়েছি। এর আগে আমি মর্গ্যান বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের দায়িত্বে ছিলাম। আমি আসার পর যেটা দেখলাম এখানে দীর্ঘ দিনের সংস্কারের অভাব রয়েছে। আপনারা যদি ঘুড়ে দেখেন তাহলে দেখবেন অনেক রুমের ফ্লোরে ফাটা এবং ইট দিয়ে টিনের চালা আটকানো। আমি সরকারের নিকট স্কুলের বিভিন্ন চাহিদার জন্য ৩কোটি টাকা বাজেটের আবেদন করেছি। আমাদের জেলা প্রশাসক নিজে এসে দেখেছেন আমাদের স্কুলটি তিনিও সরকারের কাছে আমাদের স্কুলের বাজেটের জন্য সুপারিশ করেছেন।