সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আল হাবিব ভাস্কর্য প্রসংঙ্গে বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর বিরোধিতা আমরা করছি না,ইসলামে যা নেই তার বিরুদ্ধে আমরা বিরোধিতা করছি। যদি প্রয়াত আমির শায়েখ আল্লামা আহম্মদ শফির ও ভাস্কর্য তৈরি করে আমরা সেটাও ভেঙ্গে ফেলে দেবো।
ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় নুহ নবীর পর প্রায় দেরশ্ব দুইশ্ব বছরের মধ্যে যখন কোনো নবী আসনি তখন ঐ সময় নাস্তিক মুর্দাতরা তাদের পূর্বপুরুষদের ভাস্কর্য লাগাতে শুরু করে,তখন থেকেই এর বিরুদ্ধে মুসলমানরা এর বিরোধিতা করে আসছে। এর পর ১৮৫৭ সাল থেকে ৬৭ পযর্ন্ত আল্লাহ পাকের জমিনে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে ৫০ হাজার আলেম কে জীবন দিতে হয়েছে খৃষ্টানধর্মালম্বীদের হাতে।
সোমবার বাদ জোহর ডি আই টি মসজিদের ২য় তলায় নারায়নগন্জ জেলা হেফাজতের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন শুধু তাই সরযন্ত্র চলছে কি ভাবে ইসলাম কে ধংস্ব করা যায়। এবং নতুন করে সংখ্যালঘুদের সাথে আমাদের সংঘাত সৃষ্টির জন্য পায়তারা করছে।
সামনে অনেক বড় চ্যালেন্জ এই চ্যালেন্জ কে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের কে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের একনেতার বক্তব্যের উর্ধিত্ত দিয়ে তিনি বলেন শাপলা চত্বরে আমাদের আন্দোলন পরাজিত হয়নি,সেখানে দ্বিতীয় কারবালা সৃষ্টি হয়েছে আমরা বিজয়ী হয়েছি।
২০১৩ আর ২০২০ সাল এক নয় আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালি হয়েছে হেফাজত ইসলাম,আামাদের কাজ হলো ইসলামি দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা।
নারায়নগন্জ জেলার হেফাজতের সাবেক আমীর আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগরের সভাপতি মাওলানা ফেরদৌস উর রহমান, সাধারন সম্পাদক মাওলানা হারুন উর রশিদ, আইয়ুব আলী,হাফেজ আবু তাহের, কামাল উদ্দিন দায়েমী, মুফতি সগির আহমেদ, রাশেদ বীন নুর,মুফতি কবির হোসাঈন, ইলিয়াছ আহমেদ, মুফতি সাইদুর রহমান, বেলাল হোসাইন,মঈন উদ্দিন, শাহদাত ফায়জুল্লাহ,মুফতি আবু ইউসুফ, আল আমিন জাকির,মাওলানা শাহজাহান,আশ্রাফ উদ্দিন,আব্দুল গাফফার প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী মাওলানা আব্দুল আউয়াল কে সভাপতি ও মুফতি বশির উল্লাহ কে সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌস উর রহমান, অর্থসম্পাদক ইসমাইল আব্বাসী, মীর আহম্মদ উল্লাহ কে প্রচার সম্পাদক করে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়নগন্জ জেলা কমিটি ঘোষণা করেন।